কেমনে পড়বো? : দ্বিতীয় কিস্তি

তোমরা হয়ত ইতোমধ্যে শুনেছ যে মেডিকেলে ভাইভা হয় অনেক বেশি।ভাইভার একটা নমুনা দেই।

প্রথমেই আছে আইটেম।প্রথম প্রথম সপ্তাহে একটা হবে বা হবেই না।কালের বিবর্তনে দিনে ৫টা আইটেম ও দিতে হবে।ভয় পাইয়ে দিচ্ছিনা।বাস্তবতার কথা বলছি।
এরপর আছে কার্ড ফাইনালের ভাইভা।এরপর টার্মের ভাইভা।এরপর প্রফ।
এত এত ভাইভা সফলভাবে ফেস করার  জন্যে কিছু ক্ষেত্রে তোমায় দক্ষ হতে হবে-

১।নিজেকে Express  করা।তোমাকে একটা প্রশ্ন করা হল,তুমি উত্তরটা জান ঠিকই,কিন্তু অনেকের সামনে বলতে পারছো না-এতে কোন লাভ হবে না।
তাই নিজেকে Express করার চেষ্টা কর।
কোন একটা টপিক পড়া হয়ে গেলে তোমার পাশের বন্ধুটাকে এই জিনিসটা বুঝাও।বা তাকে বল তোমাকে এখান থেকে প্রশ্ন করতে।সে কি বলে শুন,তোমারটা তাকেও শুনাও।এতে দুজনই উপকৃত হবে।

২।আর একটা কাজে তোমাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে- English. ভাইভার টেবিলে ইংরেজিতে বলতেই হবে এমনটা না।তবে অনেক স্যার ম্যাম এর কাছে ইংরেজিতে বলা লাগে।সেক্ষেত্রে যারা পারবে তারা অবশ্যই অন্যদের থেকে ভাল করবে।
এখানে আরেকটা ব্যাপার আছে- Smartness. কেউ যখন পুরোপুরি ইংরেজিতে সম্পূর্ন ব্যাপারটাকে ব্যাখ্যা করে তখন তাকে ক্রেডিট দিতেই হয়।
স্যার প্রশ্নের উত্তর ইংরেজীতে শুনতে চান নাকি বাংলায় এটা স্যারের হাবভাব দেখেই বুঝে নিবে।একটা ছোট্ট উপায় বলে দেই-
স্যার বাংলায় প্রশ্ন করলে বাংলায় আর ইংরেজিতে প্রশ্ন করতে ইংরেজিতে উত্তর দিবে।

৩।সবচেয়ে কাজের জিনিসটার কথাই বলা হয় নি-পড়ে আসতে হবে।একটা টপিক এর উপর ভাইভা,তুমি পড়েই আসো নি।তাহলে যত ফ্লুয়েন্ট ঈ হও না কেন লাভ নেই।আর পড়তে হবে কিভাবে এ নিয়ে সামনের পোস্টগুলোতে লিখছি।

Stay Tuned!

Tags: , , , ,

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top