প্ল্যাব ২ দিতে যাওয়া ছিল আমার জীবনের প্রথম প্লেন জার্নি। অনেক বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তায় ছিলাম। কিছুই জানতাম না, লজ্জায় কাউকে জিজ্ঞেসও করতে পারতাম না। আমার মত হয়তো আরো কেউ কেউ আছেন, যারা কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করতে অস্বস্তিতে ভুগেন। আপনার জন্যে হয়তো এই লেখাটা কাজে আসতে পারে।
টিকেট কাটা
টিকেট দুইভাবে কাটা যায়- একটা হচ্ছে আপনি নিজে সরাসরি এয়ারলাইন্স এর অফিস বা ওয়েবসাইট থেকে টিকেট কাটবেন। আরেকটা উপায় হচ্ছে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি এর মাধ্যমে টিকেট কাটবেন। টিকেট এর দাম ওঠানামা করে, এটার কোন absolute value নাই। কোনদিন আপনি দেখবেন টিকেট এর দাম ৫০ হাজার টাকা, আবার পরের দিনই হয়তো ওই টিকেট এর দাম ১ লাখ টাকা হয়ে যেতে পারে। কেন এমন হয় কেউ জানেনা। তবে এখানে একটা Rule of thumb হচ্ছে, ফ্লাইট এর যত আগে টিকেট কাটবেন, টিকেট এর দাম তত কম থাকবে আর ফ্লাইট এর যত কাছাকাছি সময়ে কাটবেন, টিকেট এর দাম তত বেশী থাকবে।
টিকেট কীভাবে কাটবেন – নিজে নাকি এজেন্সির মাধ্যমে?
এটা বলার আগে ট্রাভেল এজেন্সিরা ব্যবসা কিভাবে করে এটা বুঝা জরুরি। ওরা এয়ারলাইন্স এর কাছ থেকে বাল্ক এমাউন্ট এ টিকেট কিনে রাখে, যখন দাম কম থাকে তখন। এরপর এটাকে ওরা এয়ারলাইন্সের দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেশী দামে বিক্রি করে।
মানে ধরেন, আপনি আগস্টের ১৫ তারিখ কাতার এয়ারওয়েজ এর একটা টিকেট কাটতে চান ঢাকা টু লন্ডন হিথ্রো, আজকে হচ্ছে জুন এর ১৫ তারিখ। আপনি কাতার এর ওয়েবসাইটে দেখলেন দাম লেখা ৫০ হাজার। এবার আপনি ট্রাভেল এজেন্সি কে যদি বলেন টিকেট এর কথা, তাহলে এজেন্সি বলবে দাড়ান দেখে জানাচ্ছি। এজেন্সি কাতার এয়ারওয়েজ এর ওয়েবসাইটে দেখবে এই টিকেট এর দাম কত দেখাচ্ছে, এরপর সে ওই দামের কাছাকাছি একটা দাম চাইবে। এজেন্সি আপনাকে বলতে পারে যে, এই টিকেট এর দাম ৪৮ হাজার টাকা। এখানে এজেন্সির লাভটা হচ্ছে, ওরা এই টিকেট কিনেছিল বেশ আগে, আরো অনেক কম দামে। এখন ওরা বেশী দামে বিক্রি করছে। টিকেটটা ধরেন আপনি নিলেন না, ভাবলেন আরো পরে নিবেন। আপনি জুলাই এর ১৫ তারিখে আবার চেক করলেন টিকেট প্রাইস। কাতার এর ওয়েবসাইটে দেখলেন দাম লেখা ৮০ হাজার। এজেন্সিতে যোগাযোগ করলেন, ওরা বললো ওরা ৭৫ হাজার টাকায় দিবে আপনাকে টিকেট, যদিও এক মাস আগে একই টিকেট ওরা আপনার কাছে ৪৮ হাজার টাকা চেয়েছিল এবং এটা ওরা কিনেছে আরো কম দামে।
টিকেট কীভাবে কাটবেন নিজে নাকি এজেন্সির মাধ্যমে- এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে যেখানে দাম কম পাবেন, সেখান থেকে কাটবেন। আপনার কাজ হবে অফিসিয়াল এয়ারলাইন্স এর ওয়েবসাইট, পছন্দের ট্র্যাভেল এজেন্সির বলা দামের সাথে তুলনা করে দেখা- এবং যেখানে কম দাম দেখবেন, ওখান থেকে কাটবেন।
বাংলাদেশের দুইটা ভাল কর্পোরেট টাইপের ট্রাভেল এজেন্সি হচ্ছে gozayaan আর sharetrip. ওদের ওয়েবসাইটে প্রায় সময় অফার থাকে বিভিন্ন ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড + বিকাশ/নগদের। তাই যাচাই করে নিয়েন, ওদের থেকে নিলে বড় ডিসকাউন্ট পাবার সু্যোগ থাকে অনেক সময়।
টিকেট এর পেমেন্ট করা
প্লেনের টিকেট কাটার ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে- পেমেন্ট করা। সরাসরি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে টিকেট কাটতে গেলে আপনি more or less দুইটা পেমেন্ট অপশন পাবেন – Credit/ Debit Card অথবা এয়ারলাইন্সের অফিসে যেয়ে পেমেন্ট করা। এয়ারলাইন্সের অফিসে যেয়ে পেমেন্ট করতে হলে Hold My Booking নামের একটা অপশন দেয়া ওরা- Qatar Airways এর বেলায় আপনি ১০ ডলার দিয়ে ২৪ ঘন্টার জন্যে ( কিংবা ২০/৩০ ডলার দিয়ে আরো বেশী সময়ের জন্য) টিকেটটা বুক করতে পারবেন, এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকেট এর দাম বাড়বেনা, এবং যেই দামে আপনি বুক করেছেন, ওই টাকাটাই এয়ারলাইন্সের অফিসে যেয়ে পে করে আসতে হবে। এই ১০/২০ ডলার নন-রিফান্ডেবল মানে আপনাকে এই টাকা আর ফেরত দেওয়া হবেনা এবং এটা টিকেট এর দাম থেকে কেটে রাখবেনা। অর্থাৎ এই টাকা আপনাকে এক্সট্রা দিতে হচ্ছে। Emirates এর বেলায় Hold my Booking অপশন সিলেক্ট করার জন্যে কোন আলাদা টাকা দিতে হয়না।
বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, কোন ডুয়াল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ৩০০ ডলার এর বেশী টাকা লেনদেন করা যায়না। করতে হলে আলাদা করে পারমিশন নিয়ে এরপর International Gateway open করতে হয়। এয়ারলাইন্স কে পেমেন্ট করার জন্যে gateway open করেনা। তাই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে সরাসরি এয়ারলাইন্স এর ওয়েবসাইটে পেমেন্ট করা যায়না। তবে, gozayaan বা sharetrip এ আপনি চাইলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে পেমেন্টে কোন সমস্যা হয়না। আবার যদি এজেন্সি দিয়ে টিকেট কাটেন তাহলে আপনি এজেন্ট কে সরাসরি বা এজেন্ট এর ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিয়ে দিতে পারবেন। অনেকে এটাকে কার্ড পেমেন্ট এর চেয়ে ঝামেলাহীন মনে করেন, তাদের জন্যে এজেন্সি ভাল অপশন।
টিকেট কি One-way কাটবেন নাকি Round Trip?
One way ticket কাটা মানে শুধু যাওয়ার টিকেট কাটা, আর Round Trip বা Round Ticket মানে যাওয়া-আসা দুটোর টিকেট কেটে ফেলা।
বেশিরভাগ মানুষ Visitor Visa তে PLAB2 দিতে যান, তাই ঝামেলা এড়ানোর জন্যে চেষ্টা করবেন Round Trip এর টিকেট কাটতে। অর্থাৎ, যাওয়া এবং আসা দুইটার টিকেটই কেটে ফেলতে। ঝামেলা বলতে কী বুঝাচ্ছি? শুধু যাওয়ার টিকেট কাটলে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অফিসার, কিংবা ইউকে এর ইমিগ্রেশন অফিসার এমন ধারণা করতে পারেন যে আপনার উদ্দেশ্য খারাপ, আপনি হয়তো আর ফেরত আসবেন না। আপনি যেহেতু ভিজিটর ভিসায় যাচ্ছেন, এর মানে হচ্ছে আপনি ফেরত আসবেন, তাই ঝামেলা না পাকায়ে রিটার্ন টিকেট সহ কেটে ফেলা ভাল।
কোন এয়ারলাইন্স এর টিকেট কাটবেন?
একান্তই আপনার ব্যাপার। Middle East এর এয়ারলাইন্স কোম্পানি গুলোর রিভিউ ভাল- Qatar, Emirates এই দুটোর কথাই সবাই বলে। আমি নিজে Qatar Airlines এ ভ্রমণ করেছি, ওভার অল, ভালই। আমার অন্য এয়ারলাইন্স এর সাথে তুলনা করার মত অভিজ্ঞতা নাই। তবে কাতার এয়ারলাইন্স এর একটা সমস্যা হচ্ছে legroom কম। মানে সিটে বসার পর পা রাখার এ জায়গাটা এটা একটু কম৷ আমার পা রাখতে সমস্যা হয়েছে দুইবারই। আপনি চাইলেই এক্সট্রা legroom আছে এমন সিট নিতে পারবেন, এজন্যে আপনাকে এক্সট্রা পেমেন্ট করতে হবে।
কোন ক্লাস এর টিকেট কাটবেন?
টিকেট কাটতে গেলে আপনি কোন ‘ক্লাস’ এর টিকেট কাটবেন এটা জানতে চাইবে। এটার মানে হচ্ছে আপনার ফ্লাইটে আপনি কেমন ধরণের সুযোগ সুবিধা কিংবা বিলাসিতা চাচ্ছেন। সাধারণত দুই বা তিন ধরণের ক্লাস থাকে। Economy, Business and/or First Class. Economy class হচ্ছে সবচেয়ে কমদামী এবং বিলাসিতার দিক থেকে এটায় সুযোগ সুবিধা সবচেয়ে কম আর Business/First Class উল্টো। Economy এবং Business এর মধ্যেও আবার ভাগ আছে- যেমন কাতার এয়ারওয়েজ এ Economy Classic, Economy convenience, Economy Comfort আবার Business class এর মধ্যে আছে Business classic, Business Comfort এবং Business Elite – এই কয়েকটা ভাগ আছে।
ভাড়ার এবং বিলাসিতার দিক থেকেঃ Economy Classic < Economy convenience < Economy Comfort < Business classic < Business Comfort < Business Elite
Safetyর দিক থেকে ক্লাসগুলোর মধ্যে কোন বিভাজন নেই আমার জানামতে। তাই, অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করলে Economoy Class এর মধ্যে সবচেয়ে কমদামীটা অর্থাৎ Ecomomy Classic নেয়া ভাল।
ডিরেক্ট টিকেট কাটবেন নাকি ট্রানজিট/layover ওয়ালা টিকেট কাটবেন?
ট্রানজিট কি জিনিস? আপনার জার্নিটা এরকম হতে পারে, যে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে উঠলেন, সরাসরি আপনার গন্তব্য Manchester পৌছে যাবেন। অথবা, আপনি ঢাকা থেকে ধরেন অন্য কোন একটা এয়ারপোর্টে যাবেন, এরপর ওখানে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন। তারপর নেক্সট বিমানে উঠে আপনি গন্তব্যে যাবেন। এইযে অপেক্ষা করা লাগতেছে, বা বিমান চেঞ্জ করে অন্যটাতে উঠা লাগতেছে এটাকে বলে Transit. পরবর্তী বিমানের জন্যে কতক্ষণ অপেক্ষা করা লাগবে এই সময়টাকে বলে Transit Time বা Layover Time.
আমার জানামতে, বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিমান সরাসরি London/Manchester যায়, বাকি সব এয়ারলাইন্স এরই কোথাও না কোথাও Transit থাকে। UK অভিমুখী ফ্লাইট গুলোর ক্ষেত্রে Qatar Airlines এর ট্রানজিট সাধারণত Dohaতে হয়, এবং Emirates এর ট্রানজিট সাধারণত দুবাই এ হয়। যারা প্রথমবার বিমানে চড়তে যাচ্ছেন, তারা Transit নিয়ে অযথাই ভয়ে থাকেন, ট্রানজিট নিয়ে ভয়ে অনেকে পছন্দের এয়ারলাইন্সে টিকেট কাটেন না। এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারণই নাই। ট্রানজিট একটা মজার জিনিস। আমার একবার ফ্লাইট মিস হয়েছিল। ৯ ঘন্টার layover ছিল, প্রায় পুরা সময়টাই আমি না ঘুমায়ে হেটে হেটে ঘুরে দেখেছি এয়ারপোর্ট। Hamad International Airport অনেক সুন্দর। ট্রানজিটের সময়টাতে আপনকে কোন হোটেল দিবেনা, তাই শাওয়ার নেয়া কিংবা আরাম করে ঘুমানো সম্ভব না। কিন্তু আপনি চাইলে এয়ারপোর্টে বিশ্রাম নিতে পারবেন, বসে বা আধশোয়া হয়ে ঘুমাতেও পারবেন৷ Hamad Airport এ Quiet Room আছে, এগুলো রেস্ট নেয়া বা ঘুমানোর জন্যে বেশ ভাল। অনেকে বলেছেন যে negotiate করলে অনেকসময় এয়ারলাইন্স থেকে হোটেল দেয়, কিন্তু আমার এই অভিজ্ঞতা নাই।
ক্যাশ কত পাউন্ড সাথে রাখতে পারবো? এজন্যে Endorsement করা লাগবে কী?
প্রথম কথা, Endorsement কি জিনিস? বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় আপনি যদি বিদেশী কোন মুদ্রা ব্যবহার করেন, কিংবা বাংলাদেশ থেকে টাকার বিনিময়ে অন্য দেশীয় কোন মুদ্রা ক্রয় করেন, তাহলে আপনাকে এটাকে আপনার পাসপোর্টে endorse করার মাধ্যমে authorize করে নিতে হবে- ওরা আপনার পাসপোর্টে একটা সিল মেরে দিবে এবং ওখানে আপনার কার্ড নাম্বার লেখা থাকবে এবং সর্বোচ্চ কত ডলার আপনি বছরে খরচ করতে পারবেন সেটার পরিমাণ উল্লেখ করা থাকবে। এনডোর্সমেন্ট এর পরিমাণ আপনি আপনার সুবিধামত করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী আপনি বছরে সর্বোচ্চ ১২০০০ ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা endorsement করে খরচ করতে পারবেন।
সোজা কথায় যদি বলি, আপনি যদি ক্রেডিট কার্ডের multiple currency segment এ কোন লেনদেন করতে চান, কিংবা দেশ থেকে ক্যাশ পাউন্ড/ডলার বা অন্য কোন কারেন্সি অন্য কোন দেশে নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে passport endorsement করাতে হবে। UK এর নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় আপনি সর্বোচ্চ ১০ হাজার পাউন্ড ক্যাশ নিয়ে যেতে পারবেন endorsement ছাড়া- এজন্যে ইউকেতে আপনি কোন ধরণের সমস্যায় পরবেন না। বাংলাদেশের এরকম কোন নিয়ম নাই, সেজন্যে যেকোন পরিমাণ ক্যাশ পাউন্ড বা ডলার এর জন্যে আপনাকে জবাবদিহিতা করতে হতে পারে। সেজন্যে ঝামেলা এড়াতে চাইলে আপনার উচিত endorse করে ফেলা।
এয়ারপোর্টের জন্যে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
- Passport + Visa (ভিসা পাসপোর্টের ভিতরেই লাগানো থাকে।)
- COVID-19 Vaccine Certificate (মেইন দুই ডোজ দেওয়া থাকলেই হয়, বুস্টার দেয়া থাকতেই হবে এমন না)
- PLAB2 exam booking confirmation (এটা UK পৌছানোর পর এয়ারপোর্টে দেখতে চাইতে পারে।)
- Plane Ticket – ঝামেলা এড়ানোর জন্যে চেষ্টা করবেন Round Trip এর টিকেট কাটতে। অর্থাৎ, যাওয়া এবং আসা দুইটার টিকেটই কেটে ফেলতে। ঝামেলা বলতে কী বুঝাচ্ছি? শুধু যাওয়ার টিকেট কাটলে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন অফিসার, কিংবা ইউকে এর ইমিগ্রেশন অফিসার এমন ধারণা করতে পারেন যে আপনার উদ্দেশ্য খারাপ, আপনি হয়তো আর ফেরত আসবেন না। আপনি যেহেতু ভিজিটর ভিসায় যাচ্ছেন, এর মানে হচ্ছে আপনি ফেরত আসবেন, তাই ঝামেলা না পাকায়ে রিটার্ন টিকেট কেটে ফেলা ভাল।
- NOC from workplace – No Objection Certificate. এর মানে হচ্ছে আপনি যেখানে কাজ করেন, আপনার কর্মস্থল থেকে একটা সার্টিফিকেট/প্রত্যয়নপত্র নিবেন, যেখানে লেখা থাকবে যে আপনি অমুক, তমুক হাসপাতালের abc deparrment এ xyz পোস্টে কাজ করেন। PLAB2 পরীক্ষা দেওয়ার জন্যে (বা অন্য কোন কারণে) আপনি এত তারিখ থেকে এত তারিখ পর্যন্ত ইউকে অবস্থান করবেন, এতে প্রতিষ্ঠানের কোন আপত্তি নাই। NOC হচ্ছে আপনি আবার ফিরে আসবেন এটার প্রমাণ টাইপের। তবে এটা mandatory টাইপের কিছুনা, না থাকলেও চলবে।
এই জিনিসগুলা একটা waist bag বা একটা cross-arm Bag এর মধ্যে রাখবেন। বিশেষত আপনার পাসপোর্ট টা হাতের কাছে রাখা খুব জরুরি, কারণ এটা বারবার বের করা লাগবে এবং বিভিন্ন জায়গায় দেখানো লাগবে। এগুলো ফটোকপি করে এককপি আপনার হ্যান্ড লাগেজে রাখবেন, প্রতিটার ছবি ফোনে তুলে রাখবেন এবং ড্রাইভে আপলোড করে রাখবেন।
Luggage
প্রতিটা টিকেট এর গায়ে লেখা থাকে আপনি সর্বোচ্চ কত কেজি ওজনের লাগেজ নিতে পারবেন সাথে। লাগেজ দুই ধরণের হয়ে থাকে – Hand Luggage এবং Main Luggage বা checked luggage. প্রতিটার জন্যে একটা ওজন এর লিমিট থাকে, যে এর বেশি হলে আপনাকে এক্সট্রা টাকা দিতে হবে। সাধারণত Economy Class এর টিকেটে আপনাকে ৭ কেজি হ্যান্ড লাগেজ এবং এয়ারলাইন্স ভেদে ২৫/৩০/৪০ কেজি Main Luggage রাখতে দিবে। এটা টিকেট এ স্পষ্ট করে লেখা থাকে। এর বেশি ওজন হলে আপনাকে এক্সট্রা টাকা দিতে হবে। আপনি চাইলে টিকেট কাটার সময় এক্সট্রা লাগেজ ফ্যাসিলিটি কিনে নিতে পারেন কিংবা যাওয়ার দিন এয়ারপোর্টে আসার পর ওজন দিয়ে যদি দেখেন যে ওজন বেশী হয়েছে, তাহলে এটার জন্যে পেমেন্ট করে দিতে পারেন। সাধারণত টিকেট কাটার সময় এক্সট্রা লাগেজ কিনে নিলে খরচ কম পরে।
Checked luggage এয়ারপোর্টে ঢুকেই আপনাকে দিয়ে দিতে হবে এয়ারলাইন্স এর কাউন্টারে। এটা মেপে দেখবে এবং ওজন বেশি বলে এক্সট্রা পেমেন্ট করতে হবে, কিংবা ব্যাগ খুলে জিনিসপত্র কমাতে হবে। কখনো কখনো হ্যান্ড লাগেজ এর ওজনও মেপে দেখে, কিন্তু এটা সচরাচর হয়না। না মাপলে আপনার হ্যান্ড লাগেজ এর ওজন একটু আকটু বেশি হলেও সমস্যা নাই, কিন্তু যদি মাপে, তাহলে ওজন বেশি হলে ঝামেলা। অর্থাৎ এক্সট্রা টাকা দিতে হবে, নাহয় ওজন কমাতে হবে।
তাই আপনার কাপড় চোপড়-বই-খাতা- হাড়ি-পাতিল এগুলা রাখবেন checked luggage এ। Hand Luggage আপনার সাথেই থাকবে- সাধারণত ল্যাপটপ, ট্যাব, চার্জার এগুলা রাখে Hand Luggage এ। বিমানের যে সিটে বসবেন, তার উপরে রাখার জায়গা থাকবে, Overhead Locker বলে এইটাকে, ওখানে রাখবেন। Checked Luggage আর Hand Luggage এর কোনটাতে কী রাখবেন এটা নিয়ে প্রতিটা এয়ারলাইন্সের গাইডলাইন আছে আলাদা আলাদা, ফ্লাইটের আগে পরে দেখবেন। হ্যান্ড লাগেজ এ লিকুইড জাতীয় কিছু- পানি, খাবার এগুলা রাখা যায়না। সর্বোচ্চ ১০০ মিলি রাখা যায় কিছু কিছু এয়ারলাইন্সে।
On your flight date
Entering the airport
ফ্লাইটের দিন ফ্লাইটের আনুমানিক ৪ ঘন্টা আগে আপনি এয়ারপোর্ট পৌছাবেন। এয়ারপোর্টে অনেকগুলা টার্মিনাল আছে, টার্মিনাল মানে দরজা, সোজা কথায়। এগুলা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। টার্মিনালের সামনে দেখবেন ট্রলি রাখা আছে, আপনি এয়ারপোর্ট পৌছায়ে ট্রলি নিবেন, আপনার লাগেজগুলা ট্রলিতে উঠাবেন এবং এরপর ফ্যামিলির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কোন একটা টার্মিনাল দিয়ে ঢুকে পরবেন। টার্মিনালের সামনে বিরাট লম্বা লাইন থাকে, লাইনে না দাড়ায়ে চিপাচাপা দিয়ে ঢুকে পরাটা ভাল বুদ্ধি, নাইলে দাড়ায়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে যাবেন। ঢুকে আপনার কাজ হচ্ছে আপনার এয়ারলাইন্স এর কাউন্টারে যাওয়া, এবং খোজ নেওয়া আপনার ফ্লাইট এর চেক-ইন শুরু হইছে কিনা।
Checking-in & getting Boarding Pass
‘চেক-ইন’ মানে হচ্ছে ধরেন পারসেন্টেজ দেওয়া৷ আনুমানিক ৩/৪ ঘন্টা আগে একেকটা ফ্লাইটের চেক ইন শুরু হয়। আপনি আপনার ফ্লাইট নাম্বার দেখবেন, দেখে চেক-ইন শুরু হলে এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে লাইনে দাড়াবেন। এখানে আপনার মেইন লাগেজ এবং কখনও কখনও হ্যান্ড লাগেজ এর ওজন মেপে দেখবে। সাধারণত হ্যান্ড লাগেজ এর ওজন মেপে দেখেনা। কিছু কিছু এয়ারলাইন্স এখন অনলাইনে চেক ইন এর ব্যবস্থা করেছে, আমার অভিজ্ঞতা নাই। এখানে আপনার checked luggage মেপে দেখবে, স্টিকার লাগাবে এবং ওরা নিয়ে নিবে, মেইন লাগেজ এর সাথে আপনার আর দেখা হবেনা। আপনি গন্তব্যে পৌছার পর মেইন লাগেজ কালেক্ট করবেন। হ্যান্ড লাগেজ আপনার সাথেই থাকবে। ব্যাগ নেওয়ার সাথে সাথে আপনাকে ওরা Boarding Pass দিবে- মানে যেখানে আপনার ফ্লাইট নাম্বার, সিট নাম্বার সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় লেখা থাকবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, কোনভাবেই হারাবেন না। পাসপোর্ট এবং Boarding Pass আপনার হাতের কাছে রাখবেন, এটা বিভিন্ন জায়গায় আপনার কাছ থেকে দেখতে চাইবে।
Immigration
চেক ইন হয়ে গেলে আপনি ইমিগ্রেশন এর দিকে যাবেন, ওখানে ইমিগ্রেশন অফিসার থাকবে, উনাকে আপনার পাসপোর্ট দিবেন, উনি আপনাকে দুয়েকটা প্রশ্ন করতে পারে – ঠিকঠাক জবাব দিবেন। ইমিগ্রেশন হয়ে গেলে আপনার কাজ কোন একটা জায়গায় যেয়ে বসা। আপাতত আপনার কোন কাজ নাই, আপনি বাসায় ফোন দিবেন, আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলবেন, বিশ্রাম নিবেন।
Finding your Gate No
যেখানে বসে বিশ্রাম নিবেন, তার আশেপাশে খেয়াল করবেন যে ডিসপ্লে আছে- ডিসপ্লে তে বিভিন্ন ফ্লাইট নাম্বার এবং গেইট নাম্বার – “Gate No” লেখা আছে। একটা এয়ারপোর্ট থেকে অনেক বিমান ছেড়ে যায়, একেক বিমান একেক গেট থেকে ছেড়ে যায়। আপনার কাজ হচ্ছে আপনার ফ্লাইটের গেট নাম্বার দেয়া হয়েছে কিনা সেটা দেখা। আপনি যখন ইমিগ্রেশন পার করে যেয়ে বসেছেন তখন গেট নাম্বার দেওয়া নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে আধা ঘন্টা পর আবার দেখবেন গেট নাম্বার দেওয়া হয়েছে কিনা। গেট নাম্বার দেওয়া হলে ওই গেটে চলে যাবেন। কোন গেট কোনদিকে এটার ডিরেকশন পুরো এয়ারপোর্টের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া থাকে। গেট এর সামনে বসার জায়গা থাকবে, ওখানে বসে থাকবেন। কিছুক্ষণ পর এয়ারলাইন্স এর লোকজন এসে প্লেনে উঠার জন্যে ডাকবে। কে আগে উঠবে, কে পরে উঠবে এটা টিকেট এর ক্যাটাগরি অনুযায়ী ঠিক হয়- আগে বিজনেস ক্লাস এর যাত্রীরা উঠেন, এরপর ইকোনোমি। ইকোনোমি ক্লাস এর মধ্যে আবার Zone ভাগ করা থাকে সাধারণত আগে zone 1, এরপর zone 2 এরপর zone 3 এর যাত্রীদের উঠানো হয়। আপনার সিট কোন zone এ এটা boarding pass এ লেখা থাকে। এখানে আপনার পাসপোর্ট এবং বোর্ডিং পাস চেক করবে, তাই হাতের কাছে রাখুন।
During the flight
বিমানে উঠে প্রথম কাজ হলো Hand Luggage টা ভালভাবে রাখা এবং সিট নাম্বার খুজে বসে পরা, কেবিন ক্রুরা আপনাকে সাহায্য করবে, ভয় পাওয়ার কারণ নাই। বিমান ছাড়ার সময় sudden pressure difference এর জন্যে কানে তালা লাগে অনেক সময়, তাই ওই সময় দুই হাত দিয়ে কান চেপে ধরে রাখতে পারেন। বিমানের infotainment system খুব সুন্দর- অনেক মুভি, টিভি সিরিজ দেওয়া থাকে, যা খুশী দেখতে পারের, ঘুমাতে পারেন। যারা Qatar Airways এর Privilege club এর মেম্বার, তারা বিমান চলাকালীন সময়ে মোট ১ ঘন্টা ফ্রীতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। বিমান আকাশে উড়ন্ত অবস্থায়ই পারবেন, স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে। এর বেশি সময় নেট ব্যবহার করতে চাইলে পেমেন্ট করতে পারবেন। স্ক্রিনে দেখানো ইন্সট্রাকশন ফলো করলেই হবে। Privilege club এর মেম্বার হতে শুধু ফর্ম ফিলাপ করা লাগে, আর কিছু লাগেনা, এটা সম্পূর্ণ ফ্রী। বিমানে নেট চালানোর সময় পুরা সময় নেট অন রাখবেন কিনা ভেবে দেখবেন, আমার মতে কিছুক্ষণ সময় রেখে দেওয়া উচিত বিমান ল্যান্ড করার আগের সময়ের জন্যে। তখন বাসায় জানাতে পারবেন যে ল্যান্ড করার সময় হয়েছে। বিমানে খাবার দিবে, স্ন্যাক্স দিবে, আপনার কোন কিছু দরকার লাগলে চেয়ে নিতে পারেন। বিমানে toilet কে বলে Lavatory, এইটা মনে রাখবেন 😀। বিমান ল্যান্ড করার সময়ও কানে তালা লাগে অনেকের, তাই নামার সময় কান চেপে ধরতে পারেন, তাহলে অস্বস্তি লাগবেনা। ফ্লাইটের সময়টা আরেকটু উপভোগ্য করার জন্যে একটা noise cancelling earphone, ১টা travel pillow আরেকটা eye mask নিয়ে নিতে পারেন।
ট্রানজিট ফ্লাইট মিস হলে কী করবেন?
ধরেন, আপনার পরের ফ্লাইট ছিল ১টায়, কিন্তু প্রথম বিমান ছাড়তে দেরী হয়ে গেছে, পরের ফ্লাইট ধরতে পারবেন না বলে মনে হচ্ছে – কী করবেন? কিছু করা লাগবেনা। তাড়াহুড়া করবেন না, এই ফ্লাইট আপনি নিজে মিস করেন নাই, আপনার কোন দোষ ছিলোনা, তাই এটার জন্যে আপনাকে কোন ঝামেলায় পরতে হবেনা। এয়ারলাইন্স কোম্পানি আপনাকে পরবর্তী ফ্লাইটে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবেন। বিমান থেকে নেমে একটু সামনে গেলেই দেখবেন যে আপনার নাম লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে কেউ একজন দাড়ায়ে আছে। সে আপনাকে বলবে যে, আপনার ফ্লাইট চলে গেছে, আপনি প্যারা নিয়েননা, আমরা আপনাকে নেক্সট ফ্লাইটে তুলে দিবো, আপনি তখন যাইতে পারবেন।
তার থেকে বিস্তারিত শুনে নিবেন- নেক্সট ফ্লাইট কখন, কয়টায় আপনাকে চেক ইন করতে হবে, এই সময়টাতে আপনি কই থাকবেন, খাবেন কই, খাবেন কী – এবং most importantly- আপনার বোর্ডিং পাস বুঝে নিবেন, যেটাতে আপনার ফ্লাইট নাম্বার লেখা থাকবে। এয়ারলাইন্স থেকে আপনাকে কিছু টাকা দিবে খাওয়ার জন্যে। এই টাকাটা আপনাকে ওরা হাতে দিবেনা, হেল্পডেস্কে জিজ্ঞেস করলে ওরা আপনার বোর্ডিং পাস স্ক্যান করে বলে দিবে কত টাকার খাবার আপনি খেতে পারবেন। আপনি চাইলেও এই টাকা ক্যাশ করে অন্য কাজে খরচ করতে পারবেন না। এয়ারপোর্টের ভিতরের যেকোন রেস্টুরেন্টে আপনার বোর্ডিং পাস দিলে ওরা আপনাকে খাবার দিবে, আপনার বোর্ডিং পাস স্ক্যান করে ওরা আপনার ফুড এলাউয়েন্স থেকে টাকা কেটে রাখবে। আপনি চাইলে এক দোকানে পুরা টাকা খরচ করে ফেলতে পারেন, বা অল্প অল্প করে কয়েকটা দোকানে যেতে পারেন। খুব বেশী টাকা দেয়না, আমার নেক্সট ফ্লাইট ছিল ৮ ঘন্টা পর, আমাকে ১৫ পাউন্ড এর মত দিয়েছিলো। তারা খাওয়ার জন্যে আপনাকে কত টাকা দিবে এর চেয়ে বেশী দামের আপনি কিছু খেতে চাইলে আপনাকে নিজে থেকে টাকা দিতে হবে বা ওদের দেয়া টাকার সাথে এড করতে হবে। ওখানকার কারেন্সি তো আপনার কাছে নাই, তাইলে কিভাবে কিনবেন? Endorse করা ডুয়াল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড, কিংবা Endorse করা Multiple Currency Debit Card দিয়ে কিনতে পারবেন। আপনার যদি Priority Pass বা Loungekey এর মেম্বারশিপ থাকে, তাহলে layover time টা আপনি lounge এ বসে আরামে কাটাতে পারবেন। Priority Pass বা Loungkey হচ্ছে একটা সাবস্ক্রিপশন বেইজড সিস্টেম, যেটাতে আপনি annual fee প্রদান করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি সরাসরি ওদের ওয়েবসাইট থেকে নিতে চান, তাহলে তাদের annual fee অনেক বেশি পড়বে। এর বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে সাবস্ক্রিপশন নেয়া। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ড এর সাথে priority pass বা loungekey subscription দিয়ে থাকে। সাধারণত এই সুবিধা নেওয়ার জন্যে আপনাকে platinum বা তার চেয়ে উপরের ক্যাটাগরির cardholder হতে হবে। Prioritypass কিংবা loungekey বাদেও আপনি এয়ারলাইন্স কোম্পানির lounge এ থাকতে পারবেন, এজন্যে আপনাকে আগে থেকে payment করতে হবে৷ Hamad International Airpor এ Qatar Airways এর অনেকগুলা লাউঞ্জ আছে – Al Maha Lounge, Oryx Lounge etc- আপনি payment এর মাধ্যমে এগুলোর সুবিধা নিতে পারবেন।
Ending your journey
বিমান ল্যান্ড করার কিছুক্ষণ আগে আপনাকে বলবে সিটবেল্ট বাধতে। ওই সময়ে সিটবেল্ট বেধে বসে থাকবেন। সিটবেল্ট খোলার সময় হলেও আপনাকে জানানো হবে, তখন সিট বেল্ট খুলবেন এবং overhead locker থেকে আপনার হ্যান্ড লাগেজ বের করে বিমান থেকে বের হবেন। পাসপোর্ট হাতের কাছেই রাখবেন, এটা দেখাতে হবে। ইমিগ্রেশন অফিসার আপনার পাসপোর্ট দেখতে চাইবেন, উনি জিজ্ঞেস করতে পারেন আপনি কেন ইউকে এসেছেন, কই থাকবেন- সব কথার সঠিক উত্তর দিবেন।
এরপর main luggage কালেক্ট করবেন। মেইন লাগেজ আর হ্যান্ড লাগেজ নিয়ে হাটা কষ্ট হলে একটা ট্রলি নিতে পারেন – সম্ভবত এক পাউন্ড এর কয়েন দিয়ে ট্রলি নিতে হয়। তাই চেষ্টা করবেন কয়েকটা এক পাউন্ড এর কয়েন সাথে রাখতে, যাতে প্রয়োজনের সময় বিপদে পরতে না হয়।