IELTS/PLAB/OET এই সংক্রান্ত প্রচুর পোস্ট পাবেন আপনি roadtouk, PLAB for Bangladeshi Doctors, OET Medicine Helpline, প্ল্যাটফর্মসহ অন্যান্য গ্রুপে। এত পোস্টের ভীড়ে অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলেন কীভাবে শুরু করবেন। জার্নির শুরুতে যেসব ব্যাপারে আমি নিজে একটু কনফিউশনে ছিলাম সেটা নিয়ে এই লেখাটা। এটা পড়লে আপনি একটা ধারণা পাবেন কিভাবে আপনার জার্নি শুরু করতে পারেনঃ
[ বিঃদ্রঃ এই পোস্ট তাদের জন্যে যারা PLAB দিবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন, কিন্তু এখন কোনটা ফেলে কোনটা করবেন বুঝতে পারছেন না। ]
Plab দিতে চাই। প্রথমে কি করতে হবে?
১। পাসপোর্ট বানান আগে।
পাসপোর্ট বানাবেন কিভাবে বিস্তারিত জানা নেই।
২। একটা Credit কার্ড লাগবে।
অনেকে অন্যের কার্ডে পে করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে নিজে একটা কার্ড বানায়ে ফেলেন। অনেকে অনেক ধরনের কার্ড ব্যবহার করেন। তবে সবচেয়ে কমনলি ব্যবহৃত হয় এমন কার্ড হচ্ছেঃ
EBL Aqua Card
Brac Bank
SouthEast Bank Insta Prepaid card
আমি নিজে Southeast Insta Prepaid card ব্যবহার করি। আমার জানামতে এটাই সবচেয়ে ঝামেলাহীন। এই ব্যাপারে শাহরিয়ার কবির ভাইয়ার একটা পোস্ট ছিল, খুঁজে পাচ্ছিনা এখন। আপনারা একটু খুঁজে পড়ে নিবেন।
সাউথ ইস্ট ব্যাংক এ যেয়ে বলবেন প্রেপেইড কার্ড করতে চান।
যা যা লাগবেঃ
Passport
NID
Passport Sized photograph
Birth Certificate
এখানে ব্যাংক একাউন্ট খোলার ঝামেলা নেই। যেদিন যাবেন সেদিনই আপনাকে কার্ড দিয়ে দিবে। যারা ঢাকায় থাকেন, মতিঝিল এ হেড অফিস এ গিয়ে একাউন্ট খুলবেন।
কার্ড এক্টিভেট হতে ৩ দিন সময় লাগে। এক্টিভেট হওয়ার পর আপনাকে আবার ব্যাংক এ যেতে হবে। ব্যাংকে যেয়ে কাজঃ
1. Card Fee Pay করা।
ফী বছরে ৫০০ টাকা।
2. Passport এ endorse করা
এর মানে হচ্ছে , আপনাকে একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট এর ফরেন কারেন্সি ব্যবহারের জন্যে অনুমতি দিবে এবং পাসপোর্টে সিল মেরে দিবে।
যে ব্রাঞ্চ থেকে কার্ড নিয়েছেন সেখানে যেয়ে বলবেন Passport endorsement করবেন। জিজ্ঞেস করবে কত টাকা? – আপনি ফের জিজ্ঞেস করবেনঃ “সর্বোচ্চ কত টাকা করে রাখা যায়?” এবং তত টাকা করে রাখবেন।
[ 2019 সালের নভেম্বরে আমি endorse করেছিলাম 7000 USD। এখন বোধহয় upto 12000/ USD পর্যন্ত করা যায়। ]
৩। এবার আপনি OET এর জন্যে টাকা জমা দিবেন।
যত টাকা লাগবে তার চেয়ে একটু বেশী টাকা নিয়ে ব্যাংকে যাবেন। আপনি চেষ্টা করবেন প্রয়োজনের চেয়ে অন্তত ২ হাজার বা ৩ হাজার টাকা বেশি জমা দেওয়ার জন্যে।
ব্যাংকে যেয়ে বলবেন যে আপনি “কার্ডে” টাকা জমা দিবেন।
ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়া আর কার্ডে জমা দেওয়ার স্লিপ আলাদা। আপনাকে অবশ্যই কার্ডের স্লিপ নিতে হবে।
স্লিপ টা ফিল আপ করবেন।
স্লিপে দুইটা সেগমেন্ট আছে খেয়াল করবেন। বামপাশে টাকা এবং ডানপাশে ডলার। মানে আপনি চাইলে টাকা হিসেবে জমা দিতে পারবেন। অথবা, সমপরিমাণ টাকাকে ডলারে কনভার্ট করে জমা দিতে পারবেন।
আপনি ডলারে জমা দিবেন। টাকায় জমা দিলে আপনাকে পরে আবার ফোন দিয়ে টাকাকে ডলারে কনভার্ট করতে হবে, তাই অযথা টাকায় জমা দেওয়ার দরকার নাই।
ব্যাংকের কাউকে জিজ্ঞেস করবেন, “এত টাকা জমা দিতে চাই ডলারে, কত ডলার হয় আজকের রেটে?”
কত ডলার হবে তারা বলে দিবেন এবং ওভাবে ফিল আপ করে টাকা জমা দিবেন।
[ OET এর টাকা জমা দেওয়ার সময় টাকার হিসাব হয় Australian Dollar এ, PLAB এর টাকা জমা দেওয়ার সময় হিসাব হয় Pound এ। এসব নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবেনা। আপনি ডলার হিসেবে জমা দিবেন। এরপর যখন যেখানে পে করতে চান, সেই কারেন্সিতে কেটে নিবে নিজে থেকেই। ]
টাকা জমা হওয়ার পর মেসেজ আসবে। কখনো সাথে সাথে আসে, আবার কখনো সন্ধ্যায় আসে।
৪। OET এর টাকা জমা দেওয়ার আগেঃ
প্রথমে Southeast এর customer care (16206) এ ফোন দিবেন। ওরা সব বলে দিবে কি করতে হবে।
[ ওদেরকে জানাবেন যে আপনি এই পারপাসে এত টাকা পে করবেন। কী করতে হবে?
• E-commerce চালু করতে হয়। এটা কাস্টোমার কেয়ারই করে দিবে।
• Gateway open করতে হয়। এটার জন্যে কার্ড ডিভিশনে [ 02-9580081, 02-9567274, Extension 116, 138 ] ফোন দিতে হয়। এটা ২৪/৭ খোলা থাকতো আগে, এখন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই সময়ের মধ্যে ফোন দিয়েন।
আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে, কতদিনের জন্যে খোলা রাখতে চান। আপনার যতদিন প্রয়োজন ততদিন রাখবেন। বারবার ফোন দেয়া লাগে এজন্যে আমি এক বছরের জন্যে খোলা রেখেছিলাম।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী 300 USD এর বেশি পে করতে হলে কার্ড ডিভিশন এ মেইল করতে হবেঃ
[ cards@southeastbank.com.bd ]
এরপর কল দিয়ে জানিয়ে দিবেন। ৩ টা জিনিস মেইল করবেনঃ
১. OET বা PLAB এর কস্ট কত, সেই পেজ টা screenshot নিয়ে এটাচ করে দিবেন।
২. আপনার সিগনেচার এর ছবি তুলে এটাচ করে দিবেন।
৩. যে ফোন থেকে আপনার একাউন্ট খোলা আছে সেই নাম্বার টা দিবেন, ওরা open করে দিবে।
আর দেশের বাইরে আসার আগে সব Transaction alert এবং Security code বা OTP যেন আপনার মেইল এ দেয়, সেইটা বলে আসবেন অবশ্যই।
তাহলে সহজে দেশের বাইরেও কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
৫। OET এর জন্যে সিট বুক করবেন এবং পে করবেন। এরপর OET ক্লিয়ার করবেন।
আমার দৌঁড় OET পর্যন্ত 😃। PLAB পাশ করতে পারলে কোন একদিন পরের স্টেপগুলো নিয়ে লিখবো নিশ্চয়ই। সবার জন্যে শুভকামনা।
Tags: