If I\’m not back again this time tomorrow,
Carry On, Carry On.
**
রাতে ঘুমাইলাম না আজকে ব্রেকিং ব্যাড দেখে শেষ করতে হবে তাই। শেষ করলামও।
এবার অন্য একটা কথায় যাই।
আমার বন্ধু ডাঃ পিয়াস শর্মা, খুবই erratic একটা চরিত্র। প্রচন্ড আনপ্রেডিক্টেবল, কখন কি থেকে কি করে বলা যায়না। কখনো মনে হয় হি ইজ দ্য বেস্ট হিউমান বিইং এভার লিভড। আবার পরেরদিনই মনে হবে এতো পুরা পাগল, সমস্যাটা কি! যাইহোক, ইন্টার থেকে আমার ফ্রেন্ড সার্কেল মোটামোটি বেশ বড়।টুকটাক ব্যাচমেট সবার সাথেই মোটামোটি লেভেলের হায়-হেলো আছে। কিন্তু বিলিভ মি, শর্মার মত ক্রেইজি আমি কাউরে দেখিনাই।ওর পরিচিতজনেরা রিলেট করতে পারবেন হয়তো। কখনো শর্মাকে ডেসক্রাইব করতে পারতাম না, ও কার মত, ও কিভাবে চিন্তা করে এইসব। ব্রেকিং ব্যাড দেখার পর মনে হইলো পিয়াস শর্মা ইজ নান আদার দ্যান দিস জেসি পিংকম্যান। 😅
ব্রেকিং ব্যাড দেখা শেষ করে ফেসবুকে ঢুকে দেখি সকাল ৭টায় গেম অব থ্রোনস এর স্ট্রিমিং লিংক দেয়া। অলরেডি ৫টার মতন বাজে। কফি বানায়ে ছাদে চলে আসলাম। কফি খাইতেসি আর Gaan নামের app থেকে বাংলা গান স্ট্রিম করে শুনতেছি। নতুন এক শখ পাইছে। গানের সিডি জমাই। খুঁজে খুঁজে এলবাম কিনি
পাঁচটা বছর কাইটা গেলো। ১৪ সালের জানুয়ারির ১৪ কি ১ত তারিখে ফরিদপুর আসছিলাম। আব্বা-আমি আর আম্মা। সাথে এক ট্রাক মালামাল। বিকালবেলা আব্বা বলতেছিল, আমি আজকে যাইগা তুমি আর তোমার আম্মা বাজার খুঁজে বাইর করতে পারবানা? এত কান্না পাইছিল তখন।আব্বা অবশ্য তখন বাসায় যায়নাই। দুই কি তিনদিন পরে গেছিলো। ওইদিন রাতে আমরা সবাই গ্রিল খাইসিলাম। একসময় খুব প্রিয় খাবার ছিল এই গ্রিল।😅
যা বলতেছিলাম, পাচটা বছর গেলোগা। ৫ বছরের আগের আমি আর এখনকার আমির মধ্যে বিস্তর ফারাক। প্রোডাকটিভ চিন্তা করি। ঢাকা ছেড়ে আসি যখন, মানে এইচ এসসি পরীক্ষায় আমি সারাদেশে ৩২ তম হইছিলাম। নটর ডেমে টেস্ট পরীক্ষার আমার পজিশন ছিল ২৬। টেস্টএর রেজাল্ট দেওয়ার দিনটা আমার এখনো মনে আছে। প্রত্যেকটা মুহূর্ত। বাসায় এসে আব্বাকে কল দেয়া। এরপরেই জুয়েল ভাইকে কল দেওয়া।
ভাই রেজাল্ট দিছে।
\”হুম। কতো?\”
ভাই ২৬।
\”কয়শ ছাব্বিশ?\”
ভাই শুধু ছাব্বিশ।
\”কি কস!কেমনে?\”
ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালে ২৩১তম হইছিলাম আমি।সেখান থেকে টেস্ট পরীক্ষার ২৬তম হওয়ার নটর ডেমের মত কলেজে কি পরিমাণ পড়াশুনা করতে হয়, সেইটা আর কেউ না জানুক, আমি জানি অন্তত।
কিন্তু হায়, সেই ফয়সাল আবদুল্লাহ এখন কোথায়?
ক্লাস ফাইভে প্রাইমারী বৃত্তি পরীক্ষায় সেকেন্ড হওয়ার পরে লজ্জ্বায় আমি স্কুলে যাইতে পারতাম না। তখন ডিসিশন নিছিলাম এই স্কুলে আর পড়বোনা। ঠিকঠাক চান্স পাইছিলাম ক্যাডেট কলেজে।
গতকাল্কে একটা দিন গেল। বাপরে বাপ। সারাদিন ঘুমাইলাম। উঠে দেখি তাওহীদা আক্তার ফেসবুকে আমারে ট্যাগ করে ছবি দিছে। Faisal Abdullah আসলা না। সোশ্যাল এই প্রোগ্রামগুলাতে আমি এমনিতে যাইনা। কখনোই না। কিন্তু ওরা সব সময়েই যাইতে বলে। আইমিন, বলতো। ফোন চেক করে দেখলাম, কেউ কল দেয়নাই। আর কেউ না দিক, স্বাতী কল দিতো। ফেসবুক, হোয়াটস এপ, মেসেঞ্জার- কোথাও মেসেজও দেয়নাই কেউ। আরে শালা, আসতে বলোস নাই, ডাকোস নাই। আবার বলোস যে আসিনাই।
পরমুহূর্তেই ভাবলাম, ডাকলেও তো আমি যাইতাম না। হুদাই মাইন্ড করতেছি ক্যান। তখন মাথায় আসলো। ফেল করার পর থেকে এইসব ছোটখাট জিনিসে মন খারাপ হয়।
**
গান শূন্যতায় ভুগতেছি।ছাদে আইসা কফির মগ নিয়ে বইসা আছি অনেক্ষণ। যুতসই কোন গান পাইতেছিনা।সাতটা বাজতে এখনো ২২ মিনিট।
ছাদের উপর থেকে একটা ছবি তুললাম। নো বিগ ডিল।
🙂
Tags: