ডা. দিলরুবা জেবা ম্যাম- আমার সবচাইতে প্রিয় শিক্ষক।

মেডিকেলের গত পাঁচটা বছর আমি বুঝতে চেষ্টা করেছি, আমার কি লাগবে, আমার আইডল কে, আমি কার মতন হতে চাই। বুঝতে পারিনি।

ফিফথ ইয়ারের প্রথম অবস ক্লাসে এসে এই দ্বিধার অবসান হয়েছিল। তারিখটা মনে নাই। খাতায় লেখা আছে। খাতা স্বাতীর কাছে। 😁 । সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম আমি আসলে ডা. দিলরুবা জেবা ম্যাম এর মতো হতে চাই।

একটা মানুষ কত সুন্দর করে পড়ান,কি সুন্দর করে কথা বলেন! মুগ্ধ হয়ে শুধু শুনে যাই, দেখে যাই। ☺️

ব্লক পোস্টিং এর সময়টায় গাইনি ক্লাস একটাই পেয়েছিলাম ম্যাম এর। CIN পড়াচ্ছিলেন ম্যাম। মাঝখানে পড়া দিয়ে গেলেন, এসে পড়া ধরবেন। চারজনকে বোর্ডে যেয়ে পড়াতে হবে। এই চার জনের মধ্যে একজন সৌভাগ্যবান আমি ছিলাম। তেমন বিশেষ কিছু না হয়তো।কিন্তু পড়ানো যে আমার সবচাইতে প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে একটা! তার উপর সবচাইতে প্রিয় শিক্ষক এর সামনে বোর্ডে যেয়ে মার্কার-ডাস্টার হাতে দাঁড়ানো।

আমি ম্যাম এর জায়গায়, আর ম্যাম আমাদের জায়গায়- ভাবা যায়!

আমার জীবনের সবচাইতে স্মরণীয় ঘটনার মধ্যে একটা।

তার দুই তিন দিন আগের ঘটনা। ৩৯তম বিসিএস পরীক্ষার জন্যে ইন্টার্ন ডাক্তাররা সবাই ঢাকা গিয়েছেন। ওই সময় দুইদিন গাইনিতে নাইট ডিউটি করতে হয়েছিল। প্রথমদিন রাতে আমাদের সাথে ছিলেন ১৯ ব্যাচের তোফাজ্জল ভাই

কথায় কথায় জানতে পারলাম ভাইয়া জেবা ম্যাম এর সাথে কাজ করেন।শুনে এত লোভ হলো আমার। জিভে জল আসার মত অবস্থা। 🙈

আমাকে যদি কেউ বলতো ইন্টার্ন জীবনের জন্যে আমার চাওয়া কি তাহলে আমি বলতাম যে আমি ডা. দিলরুবা জেবা ম্যাম এর সাথে থাকতে চাই।ম্যাম এর থেকে কাজ শিখতে চাই।আচ্ছা কাজও শেখাতেহবে না, আমি শুধু ম্যাম এর সাথে থাকবো।দেখবো উনি কি করেন, কিভাবে করেন।এতেই হবে।

এই জীবনে তো কত পূণ্যই করলাম, সবগুলার প্রতিদান হিসেবে এই একটা ইচ্ছা কি সৃষ্টিকর্তা পূরণ করতে পারেন না?

Tags:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top