What will be the NEXT BIG THING in the Smartphone world?

মূল কথাবার্তা শুরু করার আগে একটু দেখি ২০১৭ সালে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে কি কি হলো:
প্রথমে আমাদের ফেরত যেতে হবে ২০১৬ তে। আইফোন সেভেন প্লাসে ডুয়াল ক্যামেরা-পোর্ট্রেইট মুড আনার পর থেকে মোটামোটি সব মেজর স্মার্টফোন কোম্পানি ডুয়াল ক্যামেরাতে নজর দেয়। এর আগে যে কোন ফোনে ডুয়াল ক্যামেরা ছিল না সেটা না, কিন্তু Apple ডুয়াল ক্যামেরা আনার সাথে সাথে অন্যরাও এইটার পিছনে লাগলো এবং ২০১৭ বছরটাই গেছে ডুয়াল ক্যামেরা, বেজেললেস ডিসপ্লে এই দুই এর মিশ্রণে।

এবার চলুন দেখে নেই ২০১৮ তে কি থাকবে নতুন:

১। ব্যাটারি:
স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রিতে নেক্সট রেভুল্যুশনটা আসবে ব্যাটারীতে। আমরা বিগত কয়েক বছর ধরে দেখে আসছি স্মার্টফোনের ডিসপ্লে ভাল হচ্ছে, ক্যামেরা ভাল হচ্ছে, সাইজ বড় হচ্ছে।কিন্তু একই রয়ে গেল সেই এক ব্যাটারি। কোন কোন আন্ডারডগ যেমন শাওমি বড় ব্যাটারি দিলেও সব স্মার্টফোন কোম্পানি ৪০০০ মিলিএম্পিয়ার ক্রস করছেনা বরং বেশিরভাগই ৩৫০০ এর আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। আমার ধারণা নেক্সট বিগ থিং উইল বি ব্যাটারি।

*কোন কোম্পানি সেটা করবে?

Sony – বেশ কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোন গ্যাম্বল এ চুপচাপ আছে যেটা গ্যাজেটগুরুদেরকে শুধু হতাশই করেছে। অথচ এই সনি সেই কবে থেকে তাদের এক্সপেরিয়াতে ওয়াটার রেজিস্টেন্স, স্টেরিও স্পীকার দিয়ে আসছে। তাই এবছর যদি সনি কোন বড় চেঞ্জ নিয়ে আসে স্মার্টফোন ব্যাটারিতে, আমি অবাক হবো না।

Tesla– টেসলা কোত্থেকে আসছে স্মার্টফোনে? আনবক্স থেরাপী চ্যানেলে সম্ভবত টেসলার কথা বলা হয়েছিল যে টেসলা কিছু একটা করতে পারে, এবং আমারও এমনটা মনে হয়।
টেসলা যেভাবে উড়ে এসে জুড়ে বসে গাড়ির জগৎকে পাল্টে দিচ্ছে, টেসলাই পারবে স্মার্টফোন জগৎকে একটা ধাক্কা দিতে। ইলন মাস্ক চাইলে সবই পারে।

Apple– iPhone এর ব্যাটারি ব্যাকআপ সময়েই অন্যান্য ফোনের চেয়ে বেশ ভাল ছিল।কিন্তু আমার কাছে কেন যেন কখনোই মনে হয়না যে apple ব্যাটারিতে কিছু একটা করবে। আর কেন যেন মনে হয় Apple এর Research & Development সেকশনটা ঝিমায়ে পড়েছে। গত কয়েকবছরে apple যে নতুন প্রযুক্তিগুলো এনেছে স্মার্টফোনে যেমন 3D touch, FaceID এগুলো আমার কাছে unnecessary innovation বলে মনে হয়েছে। 3D touch জিনিসটা সুন্দর কিন্তু unnecessary, long press করেই android এ এই সুবিধাগুলো দিচ্ছে।
আর FaceID- apple বলছে যে এটা ফিংগারপ্রিন্ট এর চেয়েও বেশি নিরাপদ।কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় FaceID কখনোই নিরাপত্তার প্রশ্নে TouchID কে রিপ্লেস করতে পারবেনা। নিরাপত্তার জন্যে TouchID টাই সবচাইতে ভাল অপশন ছিল।

২। Charging:
চার্জিং নিয়ে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো যা যা করছে বিগত বছরগুলোতে:
– ফাস্ট চার্জ
– ‎Wireless charge
– ‎wireless fast-charge

ফাস্টচার্জিং ব্যাপারটা ভাল।দরকারী ফিচার।এবং দিনকে দিন সেটা আরো ভালো হচ্ছে এটাও ভাল লক্ষণ।
আমার OnePlus 5T তে Dash charging নামের একটা জিনিস আছে, যেটা মারাত্মক ফাস্ট। বলা হয়ে থাকে OnePlus has the fastest charging method on earth.
কথাটা সত্যি।কিন্তু সেইসাথে এইটাও জেনে রাখা উচিত সবার যে যত তাড়াতাড়ি OnePlus চার্জ হয়, সেটা ডিসচার্জও হয় তত তাড়াতাড়ি- মানে স্ক্রীন অন টাইম এভারেজ।

আমার ধারণা সামনের বছরগুলোতে ফাস্টচার্জিং আরো ডেভেলাপ করবে। বিপ্লব আসবে wireless charging এ।
এখন আমরা wireless charging বলতে কি বুঝি?- একটা চার্জারের এক মাথা থাকবে মাল্টিপ্লাগে। আরেক মাথায় একটা গোলমতন জিনিস থাকবে।সেই গোলমতন জিনিস এর উপর ফোনখানা রাখলে চার্জ হবে।
কিন্তু এটা তো ওয়ারলেস হইলো না। চার্জার তো লাগছেই, চার্জারে একটা বিরাট বড় তারও লাগছে।তাহলে?

আমার মনে হয় wireless charger হওয়া উচিত completely wireless. কোন তার থাকবেনা সেখানে। অনেকটা ওয়াইফাই এর মত হবে সেটা। যে একটা নির্দিষ্ট এরিয়া wireless charging enabled থাকবে। ওই wireless charging zone এ যাওয়ামাত্র ফোন চার্জ হওয়া শুরু করবে।
হয়ত তখনো বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে Free wireless charging zone চালু করবে!

এবং আমার ধারণা Wireless charging এর এই বিপ্লবটা আনবে Apple. সেই সাথে airpod এর বিক্রি বাড়ানোর জন্যে হেডফোন জ্যাক এর মত আইফোনের lightning port টাও বাদ দিয়ে দিবে। 😀

# On screen fingerprint sensor নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এমনও শোনা গিয়েছে যে Apple চেয়েছিল iPhone X এ on screen fingerprint sensor আনতে।সেটাতে ব্যর্থ হয়ে পরে তারা FaceID এর দিকে ঝুকেছে। এটা সত্য কিনা জানিনা কিন্ত আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় on screen fingerprint sensor এর আইডিয়াটা obsolete. তার চেয়ে বরং face unlock/ iris scanner এগুলো আরো উন্নত হবে দিনকে দিন।

#আরও কিছু ছোটখাট ব্যাপার ঘটবে যেমন:
• ১৮:৯ aspect ratio এর ডিসপ্লে দিবে কোম্পানীগুলো।
• ‎budget-midrange ফোনে water resistance আসবে ধীরে ধীরে।
• Micro USB একদমই উঠে যাবে।এর স্থান নিবে USB Type C.
• ‎বাজেট রেঞ্জ এর ফোনে ফাস্ট চার্জিং আসবে

এই ছিল ২০১৮ সালের স্মার্টফোন দুনিয়াতে কি কি পরিবর্তন আসতে পারে তার একটা ধারণা। আমরা আশা করবো স্মার্টফোন কোম্পানীগুলো লাভের ঝুড়ি ভারী করার চেয়ে বরং innovation এর দিকে নজর দিবে।

সবাইকে ধন্যবাদ।

Tags:

0 thoughts on “What will be the NEXT BIG THING in the Smartphone world?”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top