ইন্টার্ন ভাইয়াদের বিসিএস পরীক্ষা উপলক্ষে ফিফথ ইয়ারের স্টুডেন্টদের ডাক পড়লো মেডিসিন- পেডিয়াট্রিক্স এ ডিউটি করার জন্যে। পেডিতে যাওয়ার প্রশ্ন উঠেনা, তাই সকাল সক্কাল দৌড়ায়ে মেডিসিনে আসা। ইউনিট ১/৩ এ যাওয়ার সুযোগ ছিল, কিন্তু নিজের ইসিজি জ্ঞান জাহির করার সুযোগ মিলবে হয়ত- এই আশায় সিসিইউ তে আসলাম।
জীবনের এই প্রথমবার রোগী রিসিভ করতে গেলাম- পালস নাই, বিপি একবার পেলাম কি পেলাম না, আরেকবার চেক করতে যেয়ে দেখলাম নাই।আমার জীবনের প্রথম রোগী ছিল, মারা গেল।
একটুও কি খারাপ লাগলো না?
অনেকগুলো \’প্রথম\’ অভিজ্ঞতা হল। প্রথম ফ্রেশ অর্ডার, প্রথম স্লিপ প্যাডে লেখা, প্রথম রোগী মারা যাওয়া, ডাক্তারি জীবনের ( যদিও ডাক্তার হয়ে যাইনি এখনো) প্রথম ম্যানেজ করতে যাওয়া রোগীর চিকিতসা পাওয়ার আগে মারা যাওয়া , প্রথম নিজের হাতের উপর কেউ মারা যাওয়া, প্রথম পেথিডিন দেওয়া, প্রথম নাইট ডিউটি।
গতকাল সকাল ৮:৩০ টায় এসেছিলাম ডিউটি করতে, আজকে ৮টা বাজলো- এখনো ডিউটিতে। মাঝে ৩ ঘন্টা সার্জারিতে যেয়ে একটা সার্জারি এসিস্ট করেছি- ল্যাপারোটোমি, তানভীর স্যারের সাথে। আমার সাথে ছিল পিয়াস এসিস্টে, আর হাসনাত ফ্রী হ্যান্ড। বার্স্ট এপেন্ডিক্স সাসপেক্টে করেছিলেন স্যার, এবডোমেন ওপেন করে দেখলেন পারফোরেশন। এবসেস হয়ে এক্কেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা।
সার্জারিকে হিসাবের মধ্যে ধরলে প্রথম ওটি এসিস্ট এর কথাও চলে আসে।
আর কিচ্ছু লিখতে ইচ্ছা করতেসে না। ফেসবুকে পোস্ট দিতে ভাল্লাগেনা। অনেক প্যারা। তাই আলাদা করে ব্লগে দেই। যার ইচ্ছা সে দেখে নিক।
Tags: