ফোর্থ ইয়ার। সাব্জেক্ট তিনটা।
- ফার্মাকোলজি
- মাইক্রোবায়োলোজি
- প্যাথোলোজি
ফার্মাকোলজিঃ
বই:
*একগাদা টেক্সটবই আছে: [ Katzung, Lippincott, Bennett Brown- এই কয়টা মেইন।] কেউ পড়েনা।পড়তে বলেও না।লাগলে লাইব্রেরী থেকে তুলে নিও।কেনার দরকার নাই।
* গাইড লাগবে- ব্লুপ্রিন্ট
পড়তে হবে:
লেকচার+ ডিইউ
- শুধু লেকচার পড়লে ভাইভা পাশ হবে, রিটেন পাশ হবেনা। আর শুধু ডিইউ পড়লে রিটেন পাশ হবে, ভাইভায় পাশ হবেনা। তাই দুইটাই পড়তে হবে।ফার্স্ট প্রায়োরিটি ক্লাস লেকচার।
ভাইভায় পাশ করতে হলে ফরিদ স্যারের লেকচার পড়তেই হবে। স্যার যেভাবে পড়ান সেভাবেই পরীক্ষায় ধরেন এবং ক্লাস লেকচারের বাইরে কিছুই ধরেন না।
- ফরিদ স্যারের লেকচার পড়লে রিটেন এর 60-70% কভার হয়ে যাবে। বাকিটুকুর জন্যে গাইড থেকে ডিইউর কোশ্চেন পড়তে হবে।অনেক টপিক এর উপরে [ Pharmacodynamics, ANS, GIT, Autacoids ] তুহিন ম্যাম এর শিট পাওয়া যায়।ওই টপিকগুলো ম্যাম এর শিট থেকে পড়লে ভালো।
মাইক্রোবায়োলোজিঃ
বই:
- টেক্সট বই লাগবে। Lange Review
- গাইড- ব্লুপ্রিন্ট/ এনডেভার.
- রিপন স্যার \’Khaleks Pathology and Microbiology\’ পড়তে বলেন। এটা পড়তে পারলে ভালো। তবে আমি পড়িনাই।
পড়তে হবে:
- ভাইভার জন্যে: লেকচার+ বক্স, রিটেন এর জন্যে: ডিইউ।
- মাইক্রোর ৬টা কার্ড।ফার্স্ট টার্মে জেনারেল জেনারেল ব্যাকটেরিওলোজি, সিস্টেমিক ব্যাকটেরিওলোজি ইমিউনোলোজি। সেকেন্ড টার্মে ভাইরোলোজি, প্যারাসাইটোলোজি, মাইকোলোজি।
এখানেও ফার্স্ট প্রায়োরিটি ক্লাস লেকচার।ভাল খবর হল রিপন স্যার লেকচারের বাইরে কিচ্ছু ধরেন না।আর খারাপ খবরও আছে- এহেন কোন কিছু নাই যা স্যার পড়ান না। ভাইভায় রিপন স্যার কি কি কোশ্চেন ধরেন তার লিস্ট পাওয়া যায়, সিনিয়রদের কাছে আছে, ফটোকপির দোকানেও পাবা। লেকচার পুরোটা পড়তে না পারলে অন্তত ওই প্রশ্নগুলো পড়ে ফেলো লেকচার থেকে।
- রিটেন এর জন্যে ব্ল্রুপ্রিন্ট/এনডেভার। অবশ্যই যে কাজটা করতে হবে- গাইড এ অনেককিছু উলটাপালটা লিখা আছে, ওইগুলা লেকচার এর সাথে মিলায়ে ঠিক করে নিতে হবে।বিশেষত ল্যাব ডায়াগনোসিস গুলো।
- প্রফের ভাইভাতে দুইটা বোর্ড হয়।এক বোর্ডে ব্যাকটেরিওলোজি- ভাইরোলোজি, আরেক বোর্ডে ইমিউনোলোজি, প্যারাসাইটোলোজি, মাইকোলোজি। রিপন স্যার যে বোর্ডে থাকেন ওই বোর্ডে বক্স তুলেন না।এমনি প্রশ্ন করেন।গত দুই বছর স্যার ব্যাক্টেরিওলোজির বোর্ডে ছিলেন। সামনেও এভাবেই থাকবেন আশা করা যায়। তাই ব্যাক্টেরিওলোজি- ভাইরোলোজি বক্স কোশ্চেন পড়া লাগবেনা– আমরা পড়িনাই। প্যারাসাইটোলোজি-ইমিউনোলোজি-মাইকোলোজি এই তিনটা টপিকের বক্স অবশ্যই পড়ে ফেলতে হবে ভালোভাবে।
প্যাথোলোজিঃ
প্যাথোলজির তিনটা পার্টঃ
- জেনারেল প্যাথোলোজি
- হেমাটোলোজি
- সিস্টেমিক প্যাথোলোজি
ফার্স্ট টার্মে থাকে জেনারেল প্যাথোলোজি আর হেমাটোলোজি। সেকেন্ড টার্মে সিস্টেমিক।
বইঃ
- টেক্সটবই রবিনস প্যাথোলোজি। কেনা জরুরি না। লাইব্রেরী থেকে তুলে নিলে চলবে।
- হেমাটোলোজির টেক্সটবই De Gruchy. খুবই কঠিন বই। কয়েকদিন পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। দরকার নাই পড়ার। বুঝে হেমাটোলোজি পড়তে চাইলে বক্স কোশ্চেন এর সাথে কিবরিয়া স্যারের লেকচার পড়বা। কেউই স্যারের লেকচার তুলেনা যদিও। ২২ ব্যাচের অনন্যা আপ কিবরিয়া স্যারের ফুল লেকচার তুলেছিলেন। এটা পড়তে পারো। পুরানো ক্যাম্পাসের সামনে আসসামি ফটোকপির দোকানে পাবা এটা।
- গাইড ব্লুপ্রিন্ট/এনডেভার।
- জেনারেল প্যাথলোজি, সিস্টেমিক প্যাথলজি, ক্লিনিক্যাল এর শিট। ফটোকপির দোকানে পাওয়া যাবে।
ফার্স্ট টার্ম:
ফার্স্ট টার্মে থাকে জেনারেল প্যাথোলোজি আর হেমাটোলোজি। প্যাথো প্রফ-টার্ম সবভাইভার সব কোশ্চেন হয় বক্স থেকে।তাই বক্স কোশ্চেন পড়ে ফেলতে হবে সব।
পুরানো বক্স কোশ্চেন এর সলুশন সবগুলা ফটোকপির দোকানে পাওয়া যায়। এই বছর থেকে নতুন বক্স কোশ্চেন এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তবে জেনারেল প্যাথোলোজি আর হেমাটোলোজির প্রায় সবকিছুই আগের মত আছে, তাই ওইগুলা পড়লেই হবে।
সেকেন্ড টার্ম:
সিস্টেমিক বক্স এ অনেক পরিবর্তন আছে।অনেক নতুন প্রশ্ন যোগ করা হয়েছে।পুরানো বক্স এর সলুশনে ৫০% আছে, বাকিগুলো রবিনস থেকে পড়তে হবে।আমরা সলুশন বানানোর পর্যাপ্ত সময় পাইনাই, পিডিএফ বানিয়েছিলাম।ওখান থেকেই পড়তাম।
[ এফ ২১ ব্যাচের মলয় দাদা সিস্টেমিক বক্স এর সলুশন বানাইছিলেন, এফ ১৭ ব্যাচের সেতু ভাই এর হেমাটোলোজির সলুশ্যন, ১৫ ব্যাচের মোবারক ভাই এর জেনারেল প্যাথোলোজির শিট- এগুলো সবাই পড়ে।সবগুলোই আস-সামী, লালদীঘি ফটোকপির দোকানে পাওয়া যায়।এবার ২৪ ব্যাচের কামাল একটা শিট বানিয়েছিল শুনেছিলাম। ওইটা পড়ে ফেললে হবে ভুলত্রুটি কারেকশন করে ]
বক্সে প্রায় ৪০০ টা প্রশ্ন আছে। এই ৪০০টার মধ্যে থেকে ১০টা প্রশ্ন প্রফে ধরবেন স্যারেরা, এটার উপরই পাশ ফেল নির্ভর করে। তাই বক্সের ৪০০টা প্রশ্নের মধ্যে একটা সিঙ্গেল প্রশ্নও বাদ দেয়া যাবেনা। প্যাথোলোজি পাশের সবচাইতে সহজ এবং শর্টকাট উপায় হল বক্স কোশ্চেন মুখস্ত করা।
Tags: