প্রথমত, আগে কিরকম পড়াশোনা করেছ এটা তুমি আমার চেয়ে ভাল জানো। আগে যেরকমই পড়ে থাক না কেন এখন পড়তে হবে। এখন না পড়লে যেরকম রেজাল্ট চাও ওইরকম হবেনা।
প্রফ এর আগে আর বাসায় যাওয়ার সুযোগ হবেনা, যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে এখনি যেয়ে আসো. যেতে ইচ্ছা না করলেও এখন কয়েকদিন ঘুরে আসতে পারো।
প্ল্যান:
২৫ দিন সময় নাও প্রস্তুতির জন্যে- একেক টার্মের জন্যে ৭ দিন করে। তিনদিন এনাটমি, দুইদিন ফিজিওলোজি আর দুইদিন বায়োকেমিস্ট্রি।
২১ দিনে সব টার্মের পড়া মোটামোটি একবার করে পড়া হয়ে যাবে। বাকি চারদিন কি করবা সেটা পরে বলছি।
কি পড়বা:
১। গত ৫ বছরের ঢাকা ভার্সিটির প্রশ্ন পড়ে ফেলো আগাগোড়া। প্রফের কোশ্চেন ব্যাংক কিনতে পাওয়া যায় বাজারে, ওরকম একটা কিনে ফেলো ।
২। তোমাদের কোরেসপন্ডিং ব্যাচ এর ঢাকা, সলিমুল্লাহ, সোহরাওয়ার্দী, ময়মনসিংহ, বরিশাল আর ফরিদপুরের তিন টার্মের কোশ্চন সলভ করে ফেলো। এই মেডিকেল গুলোর প্রশ্নে কিছু আনকমন প্রশ্ন পাবা, এই প্রশ্নগুলো কোশ্চেন ব্যাংকে লিখে রাখো – পরীক্ষার আগের রাতে কাজে আসবে।
৩। যেদিন যে ভিসেরা পড়বা ওই ভিসেরা টা ওইদিনই কয়েকজন মিলে দেখে ফেলো । তোমাদের ডিপার্টমেন্টের স্যার ভাইভায় কি কি কোশ্চেন জিজ্ঞেস করে ওইটার লিস্ট পাওয়া গেলে ওইগুলা পড়ে ফেলো এখনি ।
কোথা থেকে পড়বা:
সবকিছু আগে যে বই থেকে পড়েছ, ওইটাই এখন পড়বা । সবচাইতে ভাল অপশন অবশ্যই টেক্সটবই পড়া। কিন্তু যে আগে কখনো টেক্সট পড়ে নাই ,পরীক্ষার একমাস আগে এখন নতুন করে টেক্সটবই পড়তে গেলে উপকারের চেয়ে বরং ক্ষতিই বেশি হবে । সবচাইতে ভাল হয় ক্লাস লেকচার কিংবা ভুলভাল ঠিক করে নিয়ে গাইড পড়লে ।
শেষ চারদিন:
২১ দিন তো গেল, এবারের চারদিনের কাজ একটু অন্যরকম । এই চারদিনে এনাটমির সব বোনস পড়ে ফেলো আগাগোড়া। রিটেনের পরে বোনস পড়তে গেলে মাথা নষ্ট হয়ে যাবে । এখন একবার পড়ে রাখলে ভাইভার সময় খুব সুবিধা হবে।
এরপর কি:
এক-দুইদিনের একটা গ্যাপ নাও। এই দুইদিন কিচ্ছু পড়বা না, কোন বই টাচ করবা না। এরপরই পরীক্ষার আগের রাতের প্রস্তুতি শুরু করে দাও ।
দেখা হবে বিজয়ে ।
Tags: