পণ করিয়াছিলুম যে এইবার ফরিদপুরে আসিয়াই পড়ার টেবিলে আগুন ধরায়া দেবো। তাহাই করিবার ইচ্ছা ছিল।
ওয়ার্ড ভিঝিত করিয়া আসিয়াই লাইব্রেরীতে বসিয়া ম্যাকলয়েড, হাচিসন আর লেকচার খাতা খুলিয়া আগুন ধরানোর প্রস্তুতি নিবার লাগছিলাম।
ভাবিলাম আগুন লাগিয়া গেলে তো নিভানো যাইবে না, তার আগে একবার ফেবুতে গিয়া দেখিয়া আসি কে কি করে।হেইয়ানে যাইয়া দেহি কলেজকালে ব্রোম্যানশিপ পাতানো এক ব্রো হ্যাংয়াউট মারাইতে যায়া ছবি পোস্ট দিয়াছে । সেই ফটুতে এক শাড়ি পরা রমনী লাইকও দিয়াছে।
লগে ট্যাবখানা আছিলো না। বইখাতা ব্যাগে ভরিয়া বাসায় দউর দিলাম।
আসিয়াই ট্যাব খুলিয়া বসিলাম। ধুমধারাক্কা কিরাশ খায়া ফেসবুকে তাহার প্রোফাইল থুক্কু টাইমলাইনে গিয়া দেখি কেবল বাঘের আর আকাশের ছবি। হাপুস নয়নে কান্দনের ইমো গলাত ঝুলাইয়া যহনই এপ কোলজ করবার যামু তহন মনে পড়লো বাবু দিলদু খান ওরফে রিদুইন্না একখান মন্ত্র শিখায়াছিল।
মন্ত্রপাঠ প্রবেশ করিলাম তাহার ফটোসে।
হায়হায়!
এইয়্যা মুই কি দ্যাখলাম!
শাড়ি পরা ছবি।
হালুম পোজ দেয়া ছবি।
জিব্বা বার কইরা ভ্যাংগানোর ছবি।
কাগজে লেখার অভ্যেস ছিল না কখনোই।
কিন্তু রমনী বশ করিল।
আমিও কাগজ নিয়া বসিলাম।
ভদ্রতার বালাই না থাকিলে তাহার নাম প্রকাশ করিয়া ফেলিতাম । কিন্তু কত্তা বড়ই বেরসিক কিনা, নাম দিতে পারিতেছি না।
এইয়্যা মুই কি দ্যাখলাম!
ও মোর খোদা!
এইয়্যা মুই কি দ্যাখলাম!
#অসমাপ্ত।
*************
http://m.youtube.com/?#/watch?v=ahwHqa9mofQ
কিরাশ খাইবার পর থাইকাই এই গীতখানা শুনিতেছি।
বিরাট সৌন্দর্য।
\”তুমি কি গো ছবি হয়ে থাকবে?
কখনো কি নাম ধরে ডাকবে?
তুমি মোর অন্তর ছুয়ে ছুয়ে কেন যাও নাআআআ? \”
#পীরিত
#কিরাশ
ফাজিল পোলা!! 😀
আপনিও কম না!
চোপ ফাজিল।
আমারই কথা আমাকে শোনানো হচ্ছে!