জুলাই ৭,২০১৫।
সর্বশেষ লিখেছিলাম গত পড়শু। এরপরে আর লিখা হয়ে উঠেনি।
গতকাল এনেস্থেসিয়া করলাম, করলাম রেডিওলোজি। বিকেলে সন্ধানীর ইফতার। ইফতার করে ফজলে রাব্বী আর অভিজিত মিলে গেলাম আড়াইশ বেড। কপাল খারাপ, দেখার মত কিছুই ছিল না। আসার পথে অভিজিতের সাথে এব্লুম গমন,অনেকদিন পর কারো সাথে মন খুলে গল্প করা।
বাসায় এসে লিখতে বসা। সকালবেলা ওয়ার্ডে স্যার Ketamine, Propofol আর Thiopental Sodium নিয়ে আলোচনা করেছিলেন- এডভান্টেজ, ডিজএডভান্টেজ বা ব্লা ব্লা – এগুলো ফ্রেশ করে লিখলাম খাতায়।তারপর সেহরী করে ঘুম। প্রফের পর এই প্রথম রাতে ঘুমানো! সকালে উঠে দেখি জ্বর জ্বরভাব। নাক শিরশির করছিল একদিন আগে থেকেই। পাত্তা দেইনি। এখন মনে হচ্ছে পাত্তা দেয়া উচিত ছিল।
যাই হোক!
ফ্রেশ হয়ে গেলাম এনেস্থেশিয়াতে।
এনাটমির জাহাংগীর স্যারের সাথে দেখা হল আজকে। স্যার বদলাননি একদমই। লোকটা কেন যেন আমাকে এত ভালোবাসেন আমি জানি না। আলহামদুলিল্লাহ বলার মত সৌভাগ্যবান আমি কখনোই ছিলাম না, কিন্তু এরকম কিছু ব্যাপারে সত্যিই আমি অনেক বেশি পরিমানে ভাগ্যবান।
কালকে থেকে সার্জারি ওয়ার্ড। জ্বর ভাবটা যায়নি। নাকের শিরশিরানিও কমার কোন লক্ষন দেখিনা। বুঝতেসিনা যেতে পারবো কিনা। বরং গান শুনি :
কোন অভিযোগে নেই তুমি,
কখনো থাকবেনা।
পুনশ্চ
১।সেদিন স্যার বলছিলেন tomy মানে কেটে ফেলে দেয়া। এ প্রসংগে মনে পড়লো, সার্জিক্যাল টার্মস এর একটা ছবি আছে ট্যাবে। সামনে কাজে আসতে পারে।
অনেকদিন শুনেছিলাম একটানা গানটা।
ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে আমার ফোনে শুধু এই একটা গানই ছিল।