ফরিদপুর।
৫ জুলাই, ২০১৫।
রোববার।
সকালে আড়াইশ বেড যেয়ে দেখি কাকপক্ষীও নাই। এমনিতেই দেরী করে গিয়েছি। গতরাতে আম্মার চিল্লাচিল্লির জ্বালায় সেহরী করেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। এলার্ম দেয়া ছিল আটটায়। উঠতে উঠতে নয়টা বেজে গেল। আড়াইশ বেড পৌছাইসি সাড়ে নয়টায়।
ডেন্টালে কিছু হচ্ছিল না। গেলাম এনেস্থেশিয়াতে। আবার!
ঢুকেই এক স্যারের ঝাড়ি খেলাম। এই বুঝি ধরা খেয়ে গেলাম- এইরকম একটা ভয় কাজ করছিল।
এরপরের পুরো সময় জুড়ে ওটিতে।
প্রথমে দেখলাম কোলেসিস্টেকটোমি।
এরপর ল্যাপ্রোস্কোপিক কোলেসিস্টেকটোমি।
দ্বিতীয়টা খুব মজার ছিল। পেটের ভেতরের সবকিছু টিভির মধ্যে দেখা যায়! অদ্ভুত না!
ওটির সময় স্যারেরা কত কথা বললেন! কখনো খাতায় লিখললাম, কখনোবা মাথায়। একটা জিনিস খেয়াল করলাম। এক্সটিউবেশনের সময় হঠাত করে হার্ট রেট বাড়তে বাড়তে ১৩৫-১৪০ এর কাছাকাছি চলে গেল।
ভাবতে থাকলাম কেন এরকম হল। কিন্তু ফিজিওলোজির জ্ঞান দিয়ে সুরাহা হল না। স্যারকে জিজ্ঞেস করাতে বললেন Atropine দেয়াতে এমন হয়েছে। Atropine হার্ট রেট বাড়ায়।
ছেলেভুলানো ব্যাখ্যা। ভাল্লাগলো না।
দাড়িয়ে থাকতে থাকতে একসময় পা ব্যাথা হয়ে গেল। সাড়ে নয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত একনাগাড়ে দাড়িয়ে। বিরক্ত হয়ে বের হয়ে আসলাম ওটি থেকে। আর কত, ম্যান!
আঁতলামির ঝুড়িতে এসে যোগ হল আরেকটা এক্সট্রা ওয়ার্ড!
ওয়ার্ড থেকে আসার পথে রেইনবোতে দেখে আসলাম বই আসলো কিনা।ওরা বললো বিকেলে আসতে।
এসে ঘুম দিলাম। ঘুম ভাংলো কুরিয়ার সার্ভিসের ফোন পেয়ে। রিক্সা নিয়ে গেলাম বই আনতে – বেইলি লাভ, এস দাস, হ্যামিলটন বেইলি, মাখন লাল।
এরপর বাসায় এসে ইফতার, পড়া, লেখা, গান – এইতো!
🙂
Tags:
ভাইয়া মেডিকেলকে কেম্নে যে এত এঞ্জয় করেন, এটাই ভেবে পাই না। ঈর্ষা লাগে। :3
😀