জিলা স্কুলের কামরুজ্জামান স্যার ক্লাস শুরু করতেন বার-তারিখ বলার মাধ্যমে।ক্লাসে এসেই বলতেন- আজকে সারাদিন অমুক বার, এত তারিখ, এত সাল। স্যারের মত করেই শুরু করি:
আজকে সারাদিন শনিবার।
৪ জুলাই, ২০১৫।
😀
গতরাতে ঘুমাইনি। গতদিনের ওয়ার্ডের লেকচার গোছানো, মোস্ট ওয়ান্টেড খেলা, ফেসবুক, হোয়াটস এপ করতে করতে রাত পার হয়ে গেল।সেহরী করেও একই তালে কাটায়ে দিলাম সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। খুব ক্লান্ত লাগছিল। ভাবলাম একটু শুয়ে থাকি।
উঠে নয়টা বাজে গেলাম আড়াইশ বেড।
শফিক স্যার আসলেন ঢাকা থেকে। দোতলায় শুভ স্যারের রুমে বসলাম আমরা সবাই- জুই,তিথি,মৌমিতা, রাজন, সানজিদা, নাঈম, আমি, হিমেল, রুনি, রুম্পা, তানিয়া।
স্যার ডেন্টিস্ট্রি সম্পর্কে মোটামোটি ধারনা দিলেন।
দাত নিয়ে বললেন, দাতের পার্টস, স্ট্রাকচার, কমন কি কি রোগ হয় দাতে আর দাতের ব্যাপারে মানুষজনেক কি কি পরামর্শ দিয়ে বেড়াবো।
খুবই ভাল্লাগ্লো ক্লাসটা। চেষ্টা করেছি স্যার যা যা বলেন সবই লিখে রাখার।
লিখতে পেরেছিও। কিন্তু সেই লেখা পড়ার সাধ্য আমি ছাড়া আর কারো নাই।
অতএব, এসেই আবার লিখতে বসলাম।নতুন একটা খাতায় ফ্রেশ করে লিখলাম শুরু থেকে সবকিছু। খাতার নাম দিলাম \”আমি, তুমি ও ওয়ার্ড\”।
ও আচ্ছা, আপনাকেও কিছু পরামর্শ দেই:
১। দিনে ২ বার দাত ব্রাশ করবেন। রাতে খাওয়ার পর আর সকালে। সকালে খাওয়ার পর হলে ভাল হয়।
২। ৬ মাসে, কিংবা অন্তত বছরে একবার দাতের ডাক্তার দেখাবেন।
৩। বছরে একবার স্কেলিং করাবেন।
৪। খাবার দাবারে সতর্ক থাকবেন।উল্টাপাল্টা খাবার কম খাবেন।
কনফেশন:
লিখেছি আজকে। পোস্ট দিচ্ছি গতদিনের তারিখ দিয়ে।
পুনশ্চ:
একগাদা সার্জারির বই অর্ডার করেছিলাম- বেইলি লাভ, এস দাস, হ্যামিলটন বেইলি, মাখন লাল। আজকে বিকেলে যেয়ে নিয়ে আসলাম কুরিয়ার সার্ভিস থেকে।
ভাল্লাগতেসে।