কষ্ট নেবে কষ্ট
হরেক রকম কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট !
লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট
পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট,
আলোর মাঝে কালোর কষ্ট
‘মালটি-কালার’ কষ্ট আছে
কষ্ট নেবে কষ্ট!
বাপ মায়ের এক ছেলে আমি।
যথেষ্ট আদরের।
খেয়াল করে দেখলাম আম্মা আব্বার সাথে আমার ছবি একটাও নাই।
এমনকি আম্মার সাথে আব্বার ছবি খঁজে পেতেও কষ্ট হবে।
জানো, আমার না কখনোই আবার পিচ্চিকালে ফেরত যেতে ইচ্ছা করেনা।
কক্ষনো করেনা।
কেন যেন!
কিন্তু যখন দেখি বয়স কুড়ি হয়ে গেল তখন ভেতরটা কেমন শুন্য মনে হয়।
কিভাবে কিভাবে যেন বড় হয়ে গেলাম। খেয়াল ও করলাম না।
আম্মার সাথে স্কুলে যেতাম।১০ টাকা ছিল রিক্সাভাড়া।
ঝাউতলা থেকে জিলা স্কুল।
এর আগের গন্তব্য ছিল ওয়াই ডাব্লিউ সি এ স্কুল। ৫টাকা ভাড়া।
কখনো হেটে যেতাম।আম্মার হাত ধরে।
স্কুলে আমি খেলিনি কখনো।
কক্ষনো না।
আম্মাকে জিজ্ঞেস করি মাঝেমাঝে, আম্মা সবাই তো ছোট থাকতে খেলসে, আমি কেন খেলি নাই?
আম্মা বলে আমাকে নাকি সবাই আম্পায়ার বানাতো।
ভুল বললাম।ছবি আসলে আছে।এইযে এইটা। আমার দ্বিতীয় জন্মদিনের ছবি সম্ভবত।
আব্বার মোচ ছিল তখন!
কেমন হাস্যকর দেখাচ্ছে আব্বাকে!
আম্মাকে শাড়ি পরা দেখিনা অনেকদিন।
আম্মা এমনিতে শাড়ি পরেন না।মাঝে মাঝে পরতেন আগে।
আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন। বুঝতাম না তো, বায়না ধরতাম-আম্মা আজকে শাড়ি পর।
আব্বাও সায় দিতেন।
পর পর!
এখন তো বড় হয়ে গিয়েছি।
এসব আবদার বড্ড বেমানান লাগে। ভালোবাসা আটকে গিয়েছে মা দিবসের জ্বালাময়ী স্ট্যাটাসে।
ইন্টার্নীর প্রথম মাসের পয়সা দিয়ে আম্মার জন্যে শাড়ি কিনবো ভাবছি।
এই! তুমি কিন্তু শাড়ি পছন্দ করে দিবা। মনে থাকে যেন!
আমার কখনো পিচ্চি হতে ইচ্ছা করেনা সত্যি,কিন্তু আজকে এই ছবিটা দেখে আমার যে খুব পিচ্চি হতে মন চাইছে।
:\’-)
জীবনের একটা পর্যায়ে এসে মন হয় কথা বলার একটা মানুষ আসলে খুব দরকার। বলার মানুষের অভাব আমার ছিলোনা কখনোই। আমার একটা স্রোতার দরকার ছিল। গায়ে ট্যাগ থাকলে স্রোতার অভাবও হয়না। আমার গায়ে একটা না,অনেগুলা ট্যাগ। আমার স্রোতারও অভাব নাই। আমি শুধু একটা মানুষ চেয়েছিলাম, যাকে জড়িয়ে ধরে একটু কেঁদে নেয়া যাবে।
আব্বা আসলো গতকাল।
আব্বা আসলেই আমি তারা ভরা রাতে লিখতে বসি।
কালকেও লিখবো ভাবছিলাম।
কিন্তু বুকে পাথর নিয়ে তো কলমে ফুল ঝরানো যায়না। ইচ্ছা হল আব্বার বুকে লুকিয়ে একটু কেঁদে নেই।
কিন্তু হয় না।
বড় হয়ে গিয়েছি আমি।
বড়দের কাঁদতে হয়না।
ধ্যাত।
কি সব আজ বাজে বকছি।
আমার মন খারাপ না। একদমই না।
🙂