ও রাগ করেছে।
অন্যপাশে ফিরে আছে।আমার দিকে পিঠ দিয়ে।
সাহেব ভাব ধরেছেন। কথা বলবেন না আমার সাথে। আড়ি নিয়েছে।জীবনের আড়ি।
আমার হাসি পাচ্ছে খুব। মুচকি হাসি।
বেচারার তো আজকে ঘুমই আসবে না!
কোলবালিশ ছাড়া উনি ঘুমুতে পারেন না।
ওর কষ্টটা বুঝতে পারছি।
পাক কষ্ট।
আমি কিচ্ছু বলবো না।
প্রত্যেকবার তো আমিই বলি।
আজকে আমি রাগ ভাংগাবো না।
হুহ! দোষ উনার, রাগ করবেন উনি, আর সরি বলবো আমি।
পাইসে কী হ্যা!
দিব্যি গান শুনছি আমি হেডফোনে।
ও কষ্ট পাচ্ছে।
পাক।
আমার কি।
এখন অনেক রাত তোমার কাধে আমার নি:শাস।
একটার পর একটা বাজছেই।
কেমন কান্না পাচ্ছে আমার।
ও কষ্ট পাচ্ছে।
ধ্যাত।
হাত রাখলাম ওনার হাতে।
একটা বৃদ্ধাংগুল আংগুল খুজে নিল আরেকটাকে।
কানের কাছে মুখটা নিলাম।
ভাব- বললাম আমি।
আর কুটুশ করে কামড় বসালাম একটা।
কানের ওপাশটায়।
ফাইব্রো ফ্যাটি টিশ্যু – ও বলসিল একদিন। এর মানে কি কে জানে!
কোন রিএকশন নাই।
এক হাত রাখলাম ওর উপর।
সরায়ে দিল হাত।
বাব্বা! সাহস বেড়ে গেসে তো!
পিঠে মুখ ঘষে বললাম, ভালোবাসি।
কোন চেঞ্জ নাই।
ধ্যাত!
এত রাগ কেউ করে!
বুদ্ধি পাল্টালাম।
মোজা খুলে ফেললাম।
কম্বলের নিচ থেকে বের হয়ে এলাম।
মোজা খুলে ওয়াশরুমে গেলাম।
ঠান্ডা পানিতে পা ভিজিয়ে রাখলাম কিছুক্ষন।
এসে ওর পায়ের সাথে আমার ঠান্ডা পা চেপে ধরলাম।
ও ঠান্ডায় কেপে উঠল।
কিন্তু একবারও তাকালো না পাশের মানুষটার দিকে।
এত রাগ কেউ করে!
ওর কানের আছে এসে কুট করে কামড় বসালাম একটা।
শাড়ির আচল দিয়ে কাতুকুতু দিলাম কানের ভেতর।
কাবু হয়ে গেল।
কাতুকুতুর চোটে উঠে গেল।
-আর এরকম করবা?
\”এই কাতুকুতু দিবা না।\”
-বল আর এরকম করবা?
\”এইইইইই কাতুকুতু বন্ধ কর।
ধ্যাত \”।
……………….
……………….
……………….
এই মানুষটার বুকের মধ্যে বন্দি হয়ে ঘুমানোর ব্যাপারটাই আলাদা।
ওর প্রত্যেকটা হার্টবিট আমি অনুভব করছি আমার সমস্ত সত্বা দিয়ে।
আর জপছি।
ভালোবাসি। ভালোবাসি।
আর হ্যা।
ভীষন আনরোমান্টিক মানুষটা ঘুমুচ্ছে এখন। একটা জীবন্ত কোলবালিশকে বুকে জড়িয়ে।
[ লিখতে চাচ্ছি। কিন্তু হচ্ছেনা।
তাই ভাবলাম পুরনো কিছু পোস্ট দেই।
🙂 ]