কিছু বিষাদ হোক পাখি : ৪

নিজের একটা পরিচয় ভুলতে বসেছি।

\

:\’)
কলেজ জীবনটা না খুব বেশি পরিমাণে ভালো ছিল।
নেচার ক্লাবের মেম্বার হলাম প্রথমে।
একদিন গেলাম ক্লাবে। মিজান স্যারের বয়ান শুনে দ্বিতীয়দিন যাওয়ার সাহস করিনি আর।
এরপর ভাবলাম ডিবেট ক্লাবে যাই।স্কুলে বিতর্কে পুরস্কার ছিল দুই একটা।
গেলাম ডিবেট ক্লাবে।সদস্য হলাম।ভাইয়ারা কে কি বললেন সব মাথার উপর দিয়ে গেল। কাউকে বলতেও পারি না যে এগুলা কিছু বুঝি না। ডিবেটিং এর সমাপ্তি ওখানেই।

এরপর গেলাম সাইন্স ক্লাবে।
সামনে ফেয়ার।
বন্ধু সুমিত তখন জিএস হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।
সাইন্স ফেয়ারের বিশাল প্ল্যান প্রোগ্রাম।৩০১ নাম্বার রুমে ডিউটি পাওয়ার জন্যে একগাদা ছেলে পাগল! কে ভিএনসিরে পোস্টারিং করবে, কে হলি ক্রসে-এই নিয়ে ঝগড়া!
আমরা স্টল দিলাম।
আমি, অমিত, নাহিয়ান।
স্টল বিজ্ঞানের ছিল না।
কিউবের স্টল।মানুষজনকে কিউব মিলানো শিখাবো।
ফেয়ার হল।
স্টল হল।
একগাদা লোক এসে কিউবিং শিখল।

ইন্টারে পড়তাম তখন।
ভাইয়ার বাসায় যেতাম পড়তে।
আমরা ছিলাম তিন জন।
আমি রাকিব আর রাব্বি।
আর ছিল প্রতীক।
কখনো কখনো ও আসতো আমাদের সাথে।
একবুক আশা নিয়ে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ভাইয়া আমি ফিজিক্স পারি না ক্যান?
ভাইয়া বলেছিলেন,  ফিজিক্সকে ভালোবাসতে হবে।

কিউবিংকে আমি ভালোবেসেছিলাম ভাইয়া।
ফার্স্ট ইয়ারের শেষের দিকে এসে কিউবিং ছাড়লাম। আহারে! কেউ জানলো না, সেই ভাংগাচুড়া কিউবের যুগে এক পাগলার ২৫ সেকেন্ড এভারেজ ছিল।
আহারে!

একটা খাতা ছিল আমার।
খাতার মলাটে বড় বড় করে লেখা ছিল The three bench.
তিন বেঞ্চ জুড়ে ছিলাম আমরা। সেখান থেকেই এই নাম।
ওই খাতায় আমি লিখতাম। সেদিন ওই খাতায় এক কোনায় দেখলাম বুয়েটে পড়ার সময় কি কি করবো তার লিস্ট বানানো।
শুধু আমি একা না,আমারা তিনজনই বুয়েট বুয়েট করতাম।
আমি, রাকিব আর তন্ময়।
উচ্চশিক্ষার্থে আমি আর রাকিব আজ নিজদেশে প্রবাসী।
তন্ময় আছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে।

আচ্ছা, ভাগ্যে বিশ্বাস করি কি আমি?
স্রষ্টা তো সব লিখেই রেখেছেন। তাহলে কেন আমরা আমাদের মত করে সবকিছু করতে চাই! কোন কিছুই তো আর আমরা যেমনটা চাই তেমনিভাবে হবে না।

আমিতো এরচেয়ে অনেক ভালো কিছু ডিসার্ভ করতাম।
কিন্তু হায়, একদিন এই আমিই বলেছিলাম-

No one deserves. Everything has to be earned.

আচ্ছা, যদি আর্নিং এর কথাই যদি আসে তাহলে ভাগ্য কেন আসবে?

ভুল বুঝো না।
নাস্তিক হইনি।
বিপদে পড়লে দোয়া ইউনুস পড়া ছাড়িনি এখনো।
অভিজিত রায়কে চিনি না।
ব্লগ পড়িনি।
বইয়ো না।
আমারো একটা ব্লগ আছেতো!  বুকটা তাই কেমন করে ওঠে।

জানো, সেদিন এক বন্ধু বলছিল, সাহস থাকতে হয়।
সাহস আমার আছে। কিন্তু তারপরেও বড্ড ভয় হয়। আল্লা তো সব লিখেই রেখেছেন। লিখা যদি নাইবা থাকে তাহলে এত কিছু করে কীইবা হবে!
🙁

জানো, আমার না খুব ভাল্লাগে যখন কেউ নক দিয়ে বলে ভাইয়া আপনি আমাকে ফিংগার ট্রিক্স শিখাইসিলেন, আনি এখন ১৫ সেকেন্ডে মিলাই।
আমি খুব করে চাই আমার জীবনে যে মানুষটা আসবে,  সে কিউব মিলাতে না পারুক।
তাকে আমি কিউবিং শিখাবো, ভালোবেসে।
হয়ত মন খারাপ করা কোন বিকেলে তুমি এসে বুকে মাথা রেখে বলবে, এই সাহেব! থার্ড লেয়ারটা শিখায় দাও না!
:\’-)

এক মাস পর প্রফ।এক মাসও নেই আসলে। অথচ পড়তে বসতেই পারছি না। কুমিল্লা থেকে আসলাম ১৫ দিন হতে চললো।
পড়া হয়নি তেমন কিছুই।
বাসায় আই কান্ট ফোকাস।
ভাবলাম লাইব্রেরীতে যাই।
লাইব্রেরীতে আই কান্ট কনসেন্ট্রেট।
এই ফোকাসিং আর কনসেনট্রেশন এর পার্থক্যটা কোথায় সেটা আমি নিজেও জানিনা আসলে!
হঠাত করেই মনে হচ্ছে আমার একটা মানুষ দরকার যে ঠেলেটুলে পড়াবে আমাকে।
এই পড়!
পড় না!
পড়ছ না কেন!
আজকের মধ্যে এতটুকু পড়া শেষ না করলে এক সপ্তা আমার দেখা পাবা না।

অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।
😛

Tags:

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top