এনাটমি ভাইভার আগের দিন পোলাপান ভিসেরা দেখতে গিয়েছে।
একজন দেখাচ্ছে, এইটা মেনিনজেসের ভিসেরা।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, মেনিনজেস কি?
কেউ কিছু বলে না।সবাই দেখি আমার দিকে তাকিয়ে হাসে!
প্রশ্নটা কি খুব হাস্যকর ছিল?
লোকমুখে শুনেছি, আমি আগের মত আর পড়ছি না।
পথিক পথ হারাইয়াছে।
আচ্ছা, পড়বো কেন আমি?
অল্প কয়েকটা মানুষ ছিলেন এই ক্যাম্পাসে, যাদেরকে খুশি করার জন্যে পড়তাম।
যাদের কথাবার্তায় একটু হলেও অনুপ্রেরণা পাওয়া যেত, তারা একে একে চলে যাচ্ছেন।
পড়বো ক্যান আমি?
ভাইভা বোর্ডে স্যারের প্রশ্ন যদি হয়, তোমাকে কত দিবো বল,তাহলে আর পড়ার দরকার কি!
যাক সে কথা।
অবশেষে!
শেষ হল থার্ড টার্ম।
এই জানো, ফিজিওলোজি আমার সবচেয়ে ভালো লাগতো।রেস্পিরেটরি কার্ডটা আমার সবচেয়ে ভালো করে পড়া।
এর পেছনের গল্পটা বলি।
নতুব বাসায় উঠেছি।তখনও খাপ খাইয়ে নিতে পারিনি ঠিক।
রাতে ঠিকমত ঘুম হয় না।
শুয়ে থাকি ঠিকই, কিন্তু ঘুমের দেখা নাই।
রাত জাগার পর্ব শুরু হল। আইটেমের আগের রাতে ঘুমাতাম না।সারারাত জেগে ইচ্ছামত সময় নিয়ে গাইটনের একেকটা চ্যাপ্টার পড়ে আসতাম।
কালকের আইটেমে কোপাতে হবে।
পড়ে যাই।
আইটেমে কোপাই।
কার্ডেও।
*******
আমি বরং আমার কথাই বলি।
শেষ হল থার্ড টার্ম।
বাড়ি যাচ্ছি।
অদ্ভুত এই আমি হঠাত খেয়াল করলাম বাড়ি যেতে আমার ইচ্ছে করছে না।
ফরিদপুর ছেড়ে যেতে খুবই খারাপ লাগছিল।
সত্যি বলছি, কেন যেন একদমই যেতে মন চাইছিল না।
কবে ফিরবো আবার?
🙁