আমি যদি বাংলার টিচার হতাম, পরীক্ষায় ভাব সম্প্রসারন লিখতে দিতাম:
\”উদাসীনতা, ডিপ্রেসন এবং মন খারাপ- একটি সামাজিক ব্যাধি।\”
বাবা আসছে- আড়াই মাস পর বাবার সাথে সাক্ষাত হবে শুনতে পেয়ে মেজাজ খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিকতার কোন পর্যায়েই বোধ হয় পড়ে না।
সে যাই হোক!
আব্বা আসলেন।
আড়াই মাস পর।
শুকায়ে কাঠ।
ওজন কমেছে।
সকাল হাটেল, বিকালে হাটেন।
কখনো দৌড়ানও।
ডায়েট করেন। সকাল বিকাল সালাদ খান।
আয়োজন করে স্বাস্থ্যসচেতনতা যাকে বলে!
আজকে সন্ধ্যা থেকে মন খারাপ ছিল।
বিকেলে ঘুম থেকে উঠে লাইব্রেরীতে গেলাম।একগাদা বই নিয়ে গেলাম সাথে।
পড়বো।
গিয়েই ঝামেলায় পড়লাম।এই ঝামেলার কথা কাউকে বলা যায় না। যায় না কাউকে বোঝানো। কেউ বুঝে নিতেও পারে না।
বিরক্ত হয়ে চলে আসলাম বাসায়। লাগবে না পড়া।
সন্ধ্যা সাতটা তখন।
রোববার থেকে পরীক্ষা।
থার্ড টার্ম।
প্রিপারেশনের অবস্থা আর নাই বা বলি।
লোকে বিশ্বাসও করতে চায় না।
আমি মনে হয় মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি কর্মদক্ষতা সম্পন্ন স্টুডেন্ট। মিনিমাম পড়ে ম্যাক্সিমাম রেজাল্ট!
এগুলা খুব গর্বের কথা না, ভীষন লজ্জার কথা। বছরজুড়ে ভালো করার পর এখন যদি পাশ ফেল নিয়ে ভাবতে হয়, সেটা লজ্জার।
কিন্তু, ওই যে!
মন রে কেমনে বুঝাই!
পড়তে বসতে পারলামই না।
টেবিলে এসে বসলাম।
সেই পুরনো চক্র।
গান।
কফির বদলে গ্রীন টি।
মনখারাপ।
আরো মন খারাপ।
বাচ্চাকালে পড়েছিলাম।
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।
রাতটাকে এই দিক দিয়ে ভালোই বলা যায়।
পড়িনি কিছু, তারপরেও।
বন্ধু পার্থ একটা ম্যাগাজিনের কথা বললো Inkblast.
দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
অদ্ভুত রকমের সুন্দর।
এটা বাংলাদেশের কোন ম্যাগাজিন বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছিলো।
তার উপর আমাদের ব্যাচেরই কয়েকজন মিলে করেছে!
মানুষ এত স্মার্ট ক্যান!
এরপর আসলো আব্বুর সাথে কথাবার্তা।
আড্ডা বলা উচিত আসলে।
কিন্তু, বাবার সাথে আড্ডা কথাটা নাইবা বলি। আবার কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে বসি কিনা!
ব্লগার মানেই নাস্তিকতার ট্যাগ লাগানো, তাই এসব না বলাই ভালো বোধ হয়।
😀
বাবাদের উপদেশগুলা খুব মজার হয়।
প্রেম করা যাবে না।
প্রেম খুব খারাপ জিনিস।
হা হা হা।
Tags: