হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল : ২

পড়তে বসি না দেড়মাস মোটামোটি।
সামনে ফিজিও কার্ড।
পড়তে বসা উচিত।
আজকে সন্ধ্যায় ভাবলাম বসি।

নার্ভাস সিস্টেম & স্পেশাল সেন্স কার্ড।
এখনো কিছুই পড়ি নাই।
চাপা মেরে আর আগের ইম্প্রেশনে আইটেম ক্লিয়ার হয়ে গেসে।
পরীক্ষার খাতায় তো আর চাপা মারা যায় না, তাই ভাবলাম পড়তে বসি।
পড়তে বসা উচিত।


আমার একসময়কার অভ্যাস ছিল আয়োজন করে পড়তে বসা।
আয়োজন বলতে টেবিল মুছা, ঘর ঝাড়ু দেয়া, ফোন সাইলেন্ট করা।
এই অভ্যাসটা এখন আর নাই।
ঢাকায় থাকার সময় বিশাল আকারের আয়োজন হত।
এরপর এককাপ চা হাতে পড়তে বসতাম।

আজকে দেড়মাস পর বসলাম পড়তে। ছোটখাট একটা আয়োজন করা উচিত ছিল। কিন্তু কিছুই হল না।
এক কাপ কফি হাতে বসলাম।
সামনে  কার্ড।
প্রথমেই বসলাম লিস্ট বানাতে।  রিটেন কোশ্চেনের লিস্ট। প্রত্যেক কার্ডের আগেই আমি রিটেন কোশ্চেনের লিস্ট বানাই।
আগের সব পড়া থাকে, কোশ্চেনের লিস্ট বানাই, একটা করে কোশ্চেন ধরি, কিভাবে লিখবো ঠিক করি, কিছু মুখস্ত করার থাকলে করি।
এভাবেই এতদিন চালায়ে আসছি।
এবার একটু ব্যাতিক্রম।
আগের কিছুই পড়া নাই।
সব নতুন পড়তে হবে।
কার্ড বুধবারে।১৮ তারিখ।
সময় আছে দুইদিন হাতে।দুইদিনে সব পড়তে হবে।
ব্যাপার না। পড়ে নিব।

লিস্ট বানাতে বসলাম।
ফোন আসা শুরু হল।
পরীক্ষার আগের দিনগুলা এমন হয় কেন সবসময়!
যে লোকটা গত ছমাসেও ফোন দেয় নাইই, উনিও পরীক্ষার আগের সময়টাতে ফোন দেন।
যেদিনই পড়তে ভসি, ওইদিনই ফোনের যন্ত্রনায় অস্থির হয় যাই।

কোশ্চেন লিস্ট বানানো হল।
এরপরই সেই পুরনো চক্র।
মন খারাপ।
রবীন্দ্র সংগীত।
আরো বেশি মন খারাপ।

গান শুনি বরং।
সে আসবে, আমার মন বলে।
:\’-)

FA

Tags:

0 thoughts on “হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল : ২”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top