বিরক্তিকর একটা মাস গেল।
একমাস না, দেড়মাস আসলে।
সামনে প্রফ। প্রফেশনাল এক্সাম। পেশাগত পরীক্ষা।
ফার্স্ট প্রফ।
লোকজন দেখি কোপায়ে পড়া দিচ্ছে।
লজিক আর এন্টিলজিকের পাল্লায় পড়ে আমার পড়ালেখা হচ্ছে না।
না, ঠিক বলি নি।
পড়ালেখা হচ্ছে না এমনিতেই।
পড়ালেখা হচ্ছে না- এই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে নানারকম যুক্তি, সেই সাথে যুক্তি খন্ডন হচ্ছে।
যুক্তি দেখাচ্ছি আমি, খন্ডনেও এই আমিই।
প্রশ্নব্যাংক নিয়ে গত কয়েকদিনে খাটাখাটনি করলাম প্রচুর।
উফফ, পাবলিকেশনের কাজ এতটা বিরক্তিকর হয় ক্যান!
এখনকার কথা বলি বরং।
জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, গলাব্যাথা, গলা ভাংগা, এজমা।
সাথে আছে বুকে ব্যাথা।
বাম পাশটায়।
এই ব্যাথা সুখের মত নয়।
এই ব্যাথা হলে রাতের বেলায় শোয়া থেকে উঠে বসে তারপর কাশি দিতে হয়।
গতকাল কোশ্চেন ব্যাংকের কাজ শেষ হল।
আমার যতটুকু কাজ ছিল, ততটুকু।
কাজ শেষে লাইব্রেরীতে গেলাম।
একগাদা লোক পড়ছে।
পুরনো দিনের কথা মন পড়ে গেল।
একসময় আমিও লাইব্রেরীতে পড়তাম। তারপর কাপল-আর পাকলেরা লাইব্রেরীতে গ্রুপস্টাডি শুরু করলো।
কাপলদের দোষ না, দোষটা আমারই।
আশেপাশে পরিচিত লোকজন থাকলে আমার পড়া হয় না।
কথা বলার জন্যে কেমন যেন উশখুশ করতে থাকি।
যে ছেলেটা বা যে মেয়েটার সাথে কখনোই কথা বলা হয় নাই, যাকে হয়ত ঠিকমত চেনাও হয়নি, ওকেও লাইব্রেরীতে আসলে খুব আপন মনে হয়।
আমার রাতের রুটিনটা সেইরকমের।
গান।
কফি।
কোশ্চেন ব্যাংক।
গ্রেস এনাটমি-বই না, টিভি সিরিজ এর কথা বলছি।
একদিন দুইদিন না, পুরো দেড়টা মাস আমি এভাবে কাটিয়েছি।
এর মাঝে বই ছুয়েছি দুইদিন।
জেনেটিক্স কার্ডের আগের দুইদিন।
এবার বোধহয় রুটিনে একটু চেঞ্জ আনা দরকার।
নিজেকে সান্তনা দেই বরং।
হবে হবে, সব হবে।
সুস্থ হই আগে।