পড়া হবে রিপিটেটিভ।বেশ কয়েকবার বেশ কয়েকভাবে পড়তে হবে।
পড়তে হবে টেক্সটবুক।মেইনলি গাইটন।
১।বুঝার জন্যে পড়া:
প্রথমে টপিক টা বইয়ে খুজে বের করবা।
তারপর শুরু থেকে পড়ে স্টার্ট করবা।প্রথমবার পড়বা জাস্ট বুঝার জন্যে।কিছু মনে রাখার দরকার নাই।
পেন্সিল হাতে রাখবা।কোন একটা লাইন পড়ার সময় ধর তোমার প্রশ্ন জাগলো, \”এটা এমন হইল ক্যান?\”
যেভাবে প্রশ্নটা এরাইজ করসে ঠিক সেভাবেই পেন্সিল দিয়ে লিখে রাখ বইয়ে।
দেখবা চ্যাপ্টারটা পড়া শেষ হলে এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর তুমি জেনে যাবা।
যেগুলো বাকি থাকবে সেগুলো স্যারকে/কোন সিনিয়রকে জিজ্ঞেস করবা।অনেক ক্ষেত্রেই হয়ত স্যার/সিনিয়র এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না।নেটে খুজে দেখবা, নয়ত অপেক্ষা কর।একসময় নিজেই ব্যাখ্যা পেয়ে যাবা।
অপরিচিত মেডিকেল টার্ম হাইলাইটার দিয়ে মার্ক করে রাখো।পরে/সাথেসাথেই ডিকশনারি দেখো।দরকার হলে ওই শব্দটার মানে লিখে রাখো বইয়ে।
ডেফিনিশন হাইলাইট কর, ভিন্ন কালারের লাইটার দিয়ে।
বুঝার জন্যে পড়াটা এক বেলায় শেষ করতে হবে। অর্থাত সকালে একটু, বিকালে একটু এভাবে না। যখনই পড়তে বস, পুরোটা শেষ করে উঠার চেষ্টা করবা। [মাঝের ১০-১৫ মিনিটের ব্রেকের কথা আলাদা ]। সকালে একটু পড়ে উঠে গেলা, পরে সন্ধ্যায় পড়তে বসে দেখবা সকালে যতটুকু দেখেছো তার সব নতুন মনে হচ্ছে।
সাথে সাথে বই দাগাবা।
প্রথমদিকে কি দাগাতে হবে বুঝতে সমস্যা হবে, ব্যাপার না, যা মন চায় তাই দাগাও।এক সময় বুঝে যাবা কি দাগাতে হবে।
২।রিভিউ:
প্রথমবার পড়ে যা যা বুঝলা তা আরেকবার দেখবা।এইটা অনেকটা রিভাইজ টাইপের।এবারেও কিছুই মনে রাখার দরকার নাই।
কি কি পড়লা তা মনে মনে গুছিয়ে নাও।
সবচেয়ে ভালো হয় যেদিন বুঝার জন্যে পড়সো ওইদিনই রিভিও করলে।
৩।মনে রাখা:
রিভিও + বুঝে পড়ার পর কিছু জিনিস তোমার এমনিই মনে থাকবে।
এইটা কেন এমন হয়, ওইটা কেন এমন হয় না -এগুলো বিশেষত।
এবার মনে রাখার জন্যে পড়।
যা পড়া দরকার সব।
কি কি পড়তে হবে লেকচার ক্লাস ফলো করলে মোটামোটি বুঝে যাবা।
৪।অন্য বই দেখা :
গাইটন ছাড়া অন্য বই দেখতে চাইলে এবার দেখতে পারো।
[বিশেষত, সিভিএস এর জন্যে চ্যাটার্জি। ব্লাড এর জন্যে স্যামসন। আর গ্যানন তো আছেই।]
৫।রিটেন:
এবারের কাজ হল প্রশ্ন ব্যাংক+ তোমার কলেজের পুরনো কার্ড-টার্মের প্রশ্ন খুলে বসা।
রিটেনের প্রশ্ন রেডি কর বসে বসে।যা লিখা দরকার তা লিখ,অথবা কোনটা কোথা থেকে পড়তে হবে তা লিখে রাখ।
রিটেনের সময় গাইটনের সাথে অন্য বইয়ো দেখো ফ্লোচার্ট/টেবিল এসবের জন্যে।
প্রথম প্রথম রিটেন কিভাবে লিখবা বুঝতে সমস্যা হবে।তখন গাইড খুলে দেখবা একটা প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখসে। গাইডে কি লিখা আছে দেখার দরকার নাই,দেখবা কিভাবে লিখসে।
এখান থেকে আইডিয়া নিয়ে তুমি তোমার মত করে আরো স্মার্টলি সাজাবা প্রশ্নের উত্তর।
এইগুলান আমার চোখে পড়ে সময় শেষ হইয়া গেলে।দারুন ছিলো।সামনের কার্ড থেকে এপ্লাই করা চলবে।