ফিজিওলোজি সাবজেক্টটা কিভাবে পড়লে ভালো হয়?-এ নিয়ে আমি যথেষ্ঠ experiment করেছি।প্রথম ২-৩ মাস প্রত্যেকটা টপিক একেকটা একেকভাবে পড়েছি।
আমার experiment গুলো সম্পর্কে আগে বলে নিই-
১।আমাকে কেউ একজন বলেছিল মেডিকেলে সব মুখস্থ করতে হয়। হোমিওস্ট্যাসিস পড়ার সময় আমার মাথায় এই কথাটা খেলতেসিলো।আমি হোমিওস্ট্যাসিস চ্যাপ্টারটা গাইটন থেকে মুখস্থ করেছিলাম পুরা।বলতে গেলে প্রায় লাইন বাই লাইন।আইটেমে আগুন ধরায়ে দিসি,স্যার যা জিজ্ঞেস করেছে তার সবই পারসি মোটামোটি।
তিন-চারদিন পর হোমিওস্ট্যাসিস এর ডেফিনিশন ছাড়া আর কিছুই মাথায় ছিলো না আমার।
২।এরপর আসে মেমব্রেন ট্রান্সপোর্ট।মেমব্রেন ট্রান্সপোর্ট এর লেকচার তুলেছিলাম + ফলো করেছিলাম ভালোমত।
বাসায় এসে ভাবলাম নোট করে পড়বো।যেই ভাবা সেই কাজ।মেমব্রেন ট্রান্সপোর্ট পুরোটা নোট করে ফেললাম।
অসুবিধা-সময় নষ্ট হল প্রচুর।২/৩ রাত।
সুবিধা-পরীক্ষার আগে রিভিশন দিতে সুবিধা হয়।আইটেমে তেমন সমস্যা হয় নি।৩৮ জনের মধ্যে পাশ করেছিল ৩ জন,সেই তিনজনের মধ্যে ছিলাম অন্যতম।
৩।একশন পটেনশিয়ালে আবারো strategy পাল্টালাম।এবার লেকচার পড়ায় মনোযোগ দিলাম।স্যার-ম্যামেরা লেকচার ক্লাসে সব কিছু কভার করতে পারেন না, obviously. এই সিস্টেমের সুবিধা হল স্যার যা পড়িয়েছেন তা খুব ভালো পারি।কিন্তু অনেক টপিক বাদ রয়ে যায়,সেইসাথে টেক্সট পড়া হয় নি ভালোভাবে।
৪।ব্লাড কার্ডে লেকচার আর গাইটন মিলিয়ে নোট করে পড়লাম।সব ঠিক ছিলো,কিন্তু নোট করায় সব পড়ে শেষ করতে পারি নি।সেই সাথে নোট করা ব্যাপারটার সাথে আসলে \’মুখস্থ\’ কথাটা জড়িয়ে থাকে।
ব্লাড সব ভুলে গেসি 😀
৫।সিভিএস এ লেকচার আর টেক্সট মিলিয়ে পড়লাম।ফল পেলাম মোটামোটি হাতেনাতে।টপিক তেমন একটা বাদ পড়ে নাই।মোটামোটি সন্তুষ্ট ছিলাম আমি পড়া নিয়ে।
এতক্ষন ধরে আমি কোনটা কিভাবে পড়েছি তা বলার উদ্দেশ্য হল যে ভুলগুলো আমি করেছি সেগুলো যেনো কেউ না করে-এই ব্যপারটা ensure করা।
পরবর্তী পোস্টে থাকছে ফিজিওলোজি পড়বো কেমনে?- এই প্রশ্নের উত্তরের বাকি অংশ।
Tags: